গাজীপুর সিটি নির্বাচন: কাকে বেছে নেবেন, সিদ্ধান্ত নিন

0 min read

আগামী ২৫ মে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিটি নির্বাচন। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যুক্ত অর্থনৈতিক কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচন। একদিন পরেই অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে নতুন নগরপিতা বেছে নেবেন গাজীপুরবাসী। কিন্তু কেমন নগরপিতা চান তারা, কাকেই বা বেছে নেবেন, কাকে বেছে নেয়া উচিত? উত্তর মেলানো যাক নানা সমীকরণের।

গাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে দাঁড়ানো বঙ্গবন্ধুর সরাসরি কর্মী আজমত উল্লা ১৯৬৯ সালে টঙ্গী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী এই অকুতোভয় নেতা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এরপর ৭৪ সালে আইন বিভাগের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন।

৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ তার স্বপরিবারকে হত্যার পরে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবিতে আজমত উল্লা খান বার বার সোচ্চার ছিলেন। হয়েছেন নির্যাতিত, খেটেছেন জেল। তখনকার নেতৃত্ব শূন্যতার কারণে মাত্র ২৩ বছর বয়সে টঙ্গী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের সুযোগ পান। ৭৯ থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন তিনি।

১৯৮০ সালে আইন পেশা শুরুর পর ১৯৮৮ ও ৮৯ সালে পর পর গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ক্লিন ইমেজের কারণে ১৯৯৫ সালে টঙ্গী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন আজমত উল্লা। টানা তিন বার তিনি মেয়র নির্বাচিত হন।

আজমত উল্লা খান ৫২ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কখনো বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নির্দেশের বাইরে কখনো রাজনীতি করেননি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরেও কাজ করেননি। তার সবচেয়ে গর্বের বিষয় গাজীপুরের মতো জায়গায় এতো বছর রাজনীতি করেও তিনি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মতো টাকার কুমির হন নাই।

সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের টাকা আছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের পদ হারিয়েছেন। এখন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নেমেছেন শুধু টাকার শক্তিতে৷ রাজনীতিতে আদর্শিক কমিটমেন্ট না থাকলে তাদের সকল যোগ্যতাই অযোগ্যতা হয়ে যায়। যার উদাহরণ জাহাঙ্গীর। শুধু পেতে চায়। ছাড় দিতে চায় না।

এই জাহাঙ্গীর যখন দুর্নীতি ও ঋণখেলাপী হওয়ার কারণে নির্বাচনে দাঁড়ানোর অযোগ্য বলে ঘোষিত হন এবং নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল করে তখন ক্ষমতালোভী জাহাঙ্গীর তার দুর্নীতির সাম্রাজ্য চালিয়ে যেতে আজমত উল্লা তথা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে ডামি প্রার্থী হিসেবে তার মাকে দাঁড় করায়। জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন যেখানে বয়সের ভারে স্বাভাবিক কাজকর্মই চালিয়ে যেতে পারেন না সেখানে কিভাবে গাজীপুরকে সামলাবেন সেটি বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসল খবর হলো তার মাকে দাঁড় করালেও মায়ের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। যার ফলে দুর্নীতির সাম্রাজ্যও এগিয়ে নিতে পারেন। এমন দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি ও অযোগ্য জায়েদা খাতুনকে ক্ষমতায় আনা মানে নিজের পায়ে নিজে কোরাল মারা। তাছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমত উল্লা খানের সঙ্গে এই অসৎ ও ক্ষমতালোভী দুর্নীতিবাজ জাহাঙ্গীরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চরম বেমানান। ফলে সিদ্ধান্তের ভার এখন আপনার হাতেই। উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেশকে আগিয়ে নিতে আজমত উল্লায় ভরসা রাখবেন নাকি দুর্নীতিবাজ জাহাঙ্গীরকে প্রশ্রয় দেবেন।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours