আমাদের ভোট যুদ্ধ করতে হবে : মায়া

1 min read

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, আমাদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত হোন, ভোট যুদ্ধ করতে হবে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে। এটিই হবে আমাদের একমাত্র পরিকল্পনা।

সম্প্রতি মানিক মিয়া এভিনিউর বিএডিসি ভবনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এগুলো মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। আজকে মির্জা ফখরুল সাহেব বলেন- আমরা নির্বাচনে যাব না। আর কাউকে নির্বাচন করতেও দিব না। এটা একটা রাজনৈতিক দলের কথা হলো? আপনি নির্বাচনে যাবেন না ভালো কথা। নির্বাচন বানচাল করবেন, নির্বাচন নিয়ে আগুন সন্ত্রাস করবেন, এটা আওয়ামী লীগ বেঁচে থাকতে কখনো হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, আমরা ভোটে বিশ্বাসী। আইনের শাসন আমরা মানি। নির্বাচনের আচরণবিধি মেনেই আমরা কাজ করতে চাই। যারা নির্বাচন করবে আমরা সবাইকে দাওয়াত করি- সবাই নির্বাচনে আসুন। একটা প্রতিযোগিতা হোক। একটা লড়াই করে দেখি কার কত মাজায় জোর আছে। যারা বলে নির্বাচন করতে দিবে না তাদের জন্য আমাদের একটাই স্লোগান হবে, শেখ হাসিনার সরকার, বার বার দরকার। এই সরকারের জন্য আবার কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের যত আগাছা আছে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের যত আত্মীয়-স্বজন আছে তাদের বাড়ি যেতে হবে, শুধু টঙ্গী ঘুরবেন, আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে যাবেন। কার কোন আত্মীয় আছে কার কোন বন্ধুবান্ধব আছে, সব খুঁজে বাহির করতে হবে। তাদেরকে খুঁজে বের করে ভোট চাইতে হবে। সবার কাছে ভোট চাইতে হবে। আমাদের রিকশাওয়ালা ভাইদের কাছেও ভোট চাই হবে। আমরা আশাবাদী, ইনশাআল্লাহ বিজয়ী আমরা হব।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। প্রতিনিধি সভাটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।

এর আগে বিকালে রাজধানীর উত্তরায় এক অনুষ্ঠানে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, টঙ্গী ও উত্তরা মানুষের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন পার হওয়া কঠিন। এই বিষয়টি অনুধাবন করেছেন আমাদের হাবিব হাসান ভাই। এই নির্বাচন আমাদের সবার, এই নির্বাচনে আসলো পেয়ে গেল এটা বিষয় না। গাজীপুরে নির্বাচনের দিকে দেশের সমস্ত মানুষ তাকিয়ে আছেন। পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মধ্যে গাজীপুরেরটা হলো প্রথম। এই নির্বাচনটি ভালোভাবে পার হতে পারলে বাকি চারটিও এভাবে পার হতে পারব। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ছয় মাসের মাথায় কিন্তু জাতীয় নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভের জন্য সিটি কর্পোরেশন একটি সিঁড়ি। এই সিঁড়ি পার হতে পারলেই পুলসিরাত পাড় হতে পারব। সিটির ভিতরে আমাদের যত আত্মীয়স্বজন আছে সকলকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক বিজয়ী করতে হবে। ভোটের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ভোটের সংখ্যা যদি কম হয় তাহলে বিদেশিরা বলবে এদেশের ভোটাররা ভোট দিতে যায় না। মানুষদের ভোটের মুখোমুখি করতে হবে। দেশি আন্তর্জাতিক কিছু বেইমান আজকে মাঠে নামছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে খাটো করার জন্য। নানানভাবে ষড়যন্ত্র করছে। তারা বলে, আমরা নির্বাচন করব না এবং কাউকে নির্বাচন করতে দিব না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পরিচালনায় নির্বাচন হবে। ভালো লাগলে আসবেন, ক্ষমতা যেতে চাইলে। আমরা দাওয়াত দিয়ে আনবো না। সেই দায়িত্ব আমার আর নেই। ক্ষমতা যাওয়ার একমাত্র রাস্তা হলো নির্বাচন।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours