‘খালেদা জিয়ার সন্তানরা হয়েছে টাকা পাচারকারী’

1 min read

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আজকে বঙ্গবন্ধুর নাতি-নাত্নী, শেখ হাসিনা ও ওয়াজেদ মিয়ার সন্তানরা দেশের সেবায় নিয়োজিত। তারা (সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) পিতা-মাতা ও দেশের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল করতে কাজ করে যাচ্ছেন।

আর জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সন্তানরা কী হয়েছে ? তারা হয়েছে টাকা পাচারকারী। তারা টাকা লুটপাট করেছে। আর আজকে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠান ও ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ১১তম আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন মেধাবী, সৎ এবং আদর্শবান ব্যক্তি। তিনি এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত ব্যস্ত থাকার পরও তাদের সন্তানদেরকে আদর্শ ও সততার সঙ্গে সুযোগ্য করে গড়ে তুলেছেন।

তিনি বলেন, এম ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী একজন মানুষ। তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আমলে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় প্রথম, ইন্টারমিডিয়েটে দ্বিতীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বিভাগে প্রথম হন। তিনি অত্যন্ত সাহসীও ছিলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির কাস্টে ঝুলাতে চেয়েছিল যখন, সেই দুঃসময়ে ওয়াজেদ মিয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বিয়ে করেন। আজকে এটা সহজ মনে হলেও তখন সেটা কঠিন ছিল। কারণ তখন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ লোকদের প্রাণনাশের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সেই সময় তিনি এমন সাহসিকতা দেখান।

ওয়াজেদ মিয়া তার জীবদ্দশায় সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, তিনি চাইলে তার পরমাণু কমিশনের চাকরি এক্সটেনশন করতে পারতেন। এটা যৌক্তিকও ছিল, কারণ তার মতো উপযুক্ত কেউ তখন ছিল না। তবুও তিনি তার চাকরি এক্সটেনশন করেননি। যাতে কেউ বলতে না পারে, প্রধানমন্ত্রীর স্বামী বলে তিনি পদে বহাল রয়েছেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি এ কে এম ফরহাদুল কবির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো মশিউর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ নারী ও লেখক কমিশনের চেয়ারপারসন লিনা গাঙ্গুলী, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে ৮ জন ব্যাক্তিকে ড. ওয়াজেদ মিয়া স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। তারা হলেন মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ( পাবলিক সার্ভিস ক্যাটাগরিতে), প্রফেসর ড. বিদ্যুৎ বরণ সাহা ( বিজ্ঞানী ক্যাটাগরিতে, জাপান), এ এইচ এম শফিউজ্জামান ( সেরা সরকারি চাকরিজীবী ক্যাটাগরিতে), ড. এম আব্দুল মোতালেব ( বিজ্ঞানী ক্যাটাগরিতে, যুক্তরাষ্ট্র), প্রফেসর ড. গৌরীশংকর শাহ (বিজ্ঞানী ক্যাটাগরিতে, ভারত), প্রফেসর ড. এম রফিকুল ইসলাম (বিজ্ঞানী ক্যাটাগরিতে, কানাডা), প্রফেসর ড. মো শফিউর রহমান (বিজ্ঞানী ক্যাটাগরিতে, বাংলাদেশ), মিতা মুখার্জী (সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে, ভারত)।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours