আবারও গুজব ছড়িয়ে ধরা খেল নুর

1 min read

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সম্প্রতি গোপালগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যান। রাষ্ট্রপতির টুঙ্গিপাড়াযাত্রায় গাড়ি চলাচল সীমিত করার কারণে ‘অসুস্থ এক নবজাতককে হাসপাতালে নেয়ার সময় মৃত্যু হয়েছে’ বলে গুজব ছড়ানো হয়।

‘তারেক/গণঅধিকার পরিষদ’ ও ‘ফেস দ্যা পিপল’ নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে এ গুজব ছাড়ানো হচ্ছে।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি গোপালগঞ্জে যান ২৬ এপ্রিল। আর মারা যাওয়া ওই নবজাতককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ২৫ এপ্রিল। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি গোপালগঞ্জ যাওয়ার আগের দিন। ওই নবজাতক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। হাসপাতালের এন্ট্রি বুক এবং ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ভিডিও বিশ্লেষণ ও বিভিন্ন সূত্র বলছে, ওই সময়ে হাসপাতাল থেকে মৃত নবজাতককে ফেরত নিয়ে আসা হচ্ছিল। আর সেই ভিডিও ধারণ করে গুজব ছড়ানো হয়। এ ছাড়াও ভিডিও ধারণকারী মো. ইসমাইল নামে এক যুবক তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে একটা গোষ্ঠী প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। যা আমাদের দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা। সরকার এসব গুজব ছড়ানো প্রতিরোধে ডিজিটাল অ্যাক্ট করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই বিষয়গুলোকে খতিয়ে দেখে, ওইসব পেজ বন্ধ করা উচিত।

এর আগেও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরসহ তার সহযোগীরা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। বিশেষ করে নুরুল হক নুর ওমরাহ পালনের কথা বলে সৌদি যাওয়ার পথে দুবাই গিয়ে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে তাদের ফটোসেশনের ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সাফাদির সঙ্গে তার ছবি প্রকাশ্যে আসার পর নেটিজেনরা প্রশ্ন তোলেন- ‘ভিপি নুর কি পবিত্র ওমরাহ পালনের কথা বলে বিদেশ ঘুরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টদের সঙ্গে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন?’

এ ছবিকে কেন্দ্র করে কম নাটক করেননি তিনি। কখনও ছবিকে এডিট বলে দাবি করেছেন, আবার কখনও স্বীকার করেছেন বৈঠক করার ঘটনা।

ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা যায়, একটি রেস্টুরেন্টের সামনে মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন নুরুল হক নুর।

২০১৬ সালেও বিদেশে বিএনপির তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ও মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেন নুর। বৈঠক শেষে সেই সময় দুজনের ছবি ফাঁস হয়ে গেলে দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। একপর্যায়ে আসলাম চৌধুরীর দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours