জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণায় রবিউল আলম

1 min read

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আরও ৯ থেকে ১০ মাস। এর আগে আগামী দুই মাসে (মে-জুন) তিন ধাপে দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে এ সমস্ত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে।

অন্যদিকে বিএনপি আগেই ঘোষণা করেছে যে এই দলীয় সরকারের অধীনে তাঁরা আর কোনো নির্বাচন করবে না। সেই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবে না বলে নিশ্চিত করেছে। যদিও তাদের (বিএনপি) ‌‘ঘোমটা প্রার্থী’র ব্যাপারে গুঞ্জনের কথা শোনা যাচ্ছে।

এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে বিএনপি প্রকাশ্যে অংশ না নিলেও তাদের প্রার্থী এক তৃতীয়াংশ বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। সিলেটের ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ দাবি করেন। ফলে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করা নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা রয়েছে। আর এই ধোঁয়াশার মধ্যেই রাজনীতিতে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ হয়ে উঠেছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শেখ রবিউল আলম। আলোচনায় আসার অন্যতম কারণ হলো বিএনপি যখন ঘোষণা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না, তখন নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন শেখ রবিউল আলম। ঢাকা-১০ সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করবেন তিনি। সম্প্রতি ঢাকা-১০ সংসদীয় এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছা সম্বলিত পোস্টারে এমন বার্তা দিয়েছেন তিনি।

সাধারণত পহেলা বৈশাখ, ঈদ বা জাতীয় দিবসগুলোতে ঢাকা রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার প্রচারণা করে থাকেন। এ সমস্ত পোস্টার দু’ ধরনের হয়ে থাকে। এ ধরনের পোস্টারে দেখা যায় সাধারণ শুভেচ্ছা বার্তা সম্বলিত। আর আরেক ধরনের পোস্টার হলো যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান (স্থানীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন) তাঁরা পোস্টারে সেটি উল্লেখ্য করে শুভেচ্ছা জানান। যেমনটি দেখা যাচ্ছে ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শেখ রবিউল আলম এর পোস্টারে। ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের বিভিন্ন সড়ক, অলিগলিতে সাটানো রবিউলের পোস্টারে দেখা গেছে যে, সেখানে উল্লেখ্য করা হয়েছে ‘বিএনপি মনোনীতি সংসদ সদস্য প্রাথী-ঢাকা-১০ সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিএনপি’। তাহলে কি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন রবিউল আলম। কিন্তু দলটির ভাষ্য হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। এদিকে সরকার এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে তারা সংবিধানের বাইরে গিয়ে কিছু করবে না। তাহলে কোনো পন্থায় রবিউল আলম নির্বাচন করবেন সেটি যেমন একটি কোটি টাকার প্রশ্ন তেমনি উকিল সাত্তার মডেলের বিষয়টিও বেশ জোরেশোরে আলোচনায় আসছে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours