আন্দোলন রেখে এবার নাশকতায় বিএনপি

1 min read

নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ক্ষমতার স্বাদবঞ্চিত বিএনপি। দলটির নেতা-কর্মীরা নিজেরা শান্তিতে না থাকায় দেশের জনগণকেও শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। ২০১৩-১৪ সালের মতো অগ্নি-সন্ত্রাসে মেতে উঠেছে স্বাধীনতাবিরোধী এই দলটি। আন্দোলনে পেরে না ওঠে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেই তারা ক্ষমতায় ফিরতে চায়। দেশে সৃষ্টি করতে চায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি।

সূক্ষ্ম পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাই তারা বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে অগ্নি সংযোগের মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে তাই নতুন নতুন স্পট নির্দিষ্ট করে অগ্নিসংযোগ করছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটগুলোতে। এই যেমন বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড! এর রেশ কাটতে না কাটতেই নিউমার্কেটে অগ্নিকাণ্ড হতবাক করে দেয় পুরো দেশকে। ঠিক তার পরদিন অর্থাৎ সোমবার (১৭ এপ্রিল) আগুন লাগে উত্তরার বিজিবি মার্কেটে।

সবই বিএনপির সেই পুরনো খেলা! ২০১৩-১৫ সালে সারাদেশে যেখানে যেভাবে পেরেছে অগ্নি সংযোগ করেছে। মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে, হাজার মানুষকে আহত করেছে, নি:স্ব করেছে লাখ মানুষকে।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল অগ্নি-সংযোগের পরিকল্পনা করা হয় টঙ্গিতে। সেখানে দেখা যায়, রাত আনুমানিক ১০.৩০ টায় টঙ্গী বাজারের সপুরা মার্কেটের নিচ তলার দক্ষিণ পাশের স্টেশনারি দোকানের সামনে গলির রাস্তায় অজ্ঞাতনামা এক দুষ্কৃতিকারী একটি শপিং ব্যাগে রাখা ২৫০মিলি কোকোকোলার বোতলে এক বোতল অকটেন, একটি ভাঙ্গা বাটন ফোনের ব্যাটারির অংশ বিশেষ এবং কিছু টিস্যু পেপার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি মার্কেটের দোকানদারদের চোখে পড়লে তারা তাৎক্ষণিক আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে মার্কেটের সভাপতি মতিন সাহেব মোবাইল যোগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান।

এ ঘটনায় মার্কেটের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। স্থানীয় এক বিএনপি নেতা এই ঘটনার সাথে জড়িত, দুষ্কৃতিকারীকে ধরার লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি জাবেদ আহমেদ সুমন ও তার অনুসারীরা এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছেন বলে বিশ্বস্ত একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

চলমান অগ্নি-সংযোগ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভূরঞ্জন সরকার বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামায়াত। এদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। নাহলে এরা দেশকে বিক্রি করতে দ্বিধা পর্যন্ত করবে না। এদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours