খুনের রাজনীতি এবং জিয়াউর রহমান

1 min read

নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সূচনা করেন স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। প্রচণ্ড রকমের ক্ষমতালোভী জিয়া ছিলেন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার হত্যাকাণ্ডের মূল বেনিফিশিয়ারি। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বিনাবিচারে হত্যা, খুন, গুম, বিরোধী দল দমনের মতো ঘৃণ্য রাজনীতির জন্মদাতা বলা হয় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াকে। পরবর্তীতে জিয়ার পদাঙ্ক অনুকরণ করে খালেদা জিয়া ও তার কুপুত্র তারেক রহমানও। ক্ষমতালোভী জিয়া পরিবারের সদস্যদের হাতে নিরীহ মানুষের রক্তের দাগ আজও লেগে আছে।

তথ্যসূত্র বলছে, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনার সূত্রপাত হয় জিয়ার অবৈধ শাসনামলে। ১৯৭৫-১৯৮১ সালের পর সবচেয়ে ভয়ানক সময় ছিল ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর ক্রসফায়ারের নামে সারাদেশে শুরু করে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। ২০০২ সালে ‘অপারেশন ক্লিন হার্টে’র নামে প্রথমে দেশে শুরু হয় মানুষ হত্যার রাজনীতি। তারপর ২০০৪ সালে র‌্যাব গঠন করে তাদেরকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে তৎকালীন সরকার। শুধু বিচারবহির্ভূত হত্যাই নয়, ‘যৌথ অভিযান দায় মুক্তি আইন ২০০৩’ গঠন করে ন্যায় বিচার চাওয়ার রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার। বিচারবহির্ভূত হত্যার দায় ক্লিনহার্ট অভিযানের সময় যৌথবাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতনে নিহতদের ‘হার্টফেল’ করে মারা গেছে বলেও প্রচার করতো তৎকালীন সরকার। অপারেশন ক্লিনহার্টের সময় ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নির্মম নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়ার উল্লেখ থাকার পরও তাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হতো না। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রথম বৈধতা দেয়।

ক্লিনহার্ট অভিযান সমাপ্তির পর নতুন মোড়কে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। ওই সময়ে অভিযানে যারা নিহত হতো, তাদের বলা হতো ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছে। দেশ-বিদেশের মানবাধিকার সংস্থাসহ রাজনৈতিক মহল বিচারবহির্ভূত এসব হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোয় ক্রসফায়ার শব্দটির পরিবর্তে কিছুদিন ‘এনকাউন্টার’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের তথ্যমতে, ২০০২-০৬ সাল পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১৫৫ জন ব্যক্তিকে বিনা বিচারে হত্যা করে বিএনপি-জামায়াত সরকার।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours