নিউজ ডেস্ক: উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। উদ্বৃত্ত খাদ্য রপ্তানি করারও পরিকল্পনা করছে সরকার। দেশের এমন উন্নয়নে হঠাৎ করে অভাব-অনটনের বক্তব্য দিয়ে রাজনীতিতে নতুন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গণমাধ্যমের এক বক্তৃতায় শনিবার (২৫ মার্চ) মির্জা ফখরুল বলেছেন, দেশে অভাব রয়েছে। যদিও ফখরুলের এমন বক্তব্যের যৌক্তিকতা ও সত্যতা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এই বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশ আজকে প্রতিটি ক্ষেত্রেই উন্নয়ন করছে। স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, খাদ্য, বস্ত্রসহ সকল মৌলিক চাহিদা পূরণ করে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত হয়েছে দেশ।
বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ, শিল্প-বাণিজ্যে প্রসার ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্রের হার কমিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। অথচ আজকে বিরোধী দলের নেতা বাংলাদেশের দৃশ্যমান উন্নয়ন অস্বীকার করে বিভ্রান্তি ও মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, ফখরুল সাহেব যা বলেছেন তা সত্য নয়। আজকের বাংলাদেশে কেউ না খেয়ে মরে না। কারণ কৃষি, শিল্প-বাণিজ্য ও উৎপাদন মুখী ক্ষেত্রে সরকারের বিশেষ নজরদারি ও প্রণোদনায় দেশের অর্থনীতি বিকশিত হচ্ছে। মানুষ কাজ পাচ্ছে, দ্রুত সেবা পাচ্ছে হাতের নাগালে। সুতরাং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এই বাংলাদেশকে দরিদ্র বাংলাদেশ বানানোর অপচেষ্টাকে স্রেফ দেশদ্রোহিতা বলব আমি। রমজান মাসেও মিথ্যাচার বন্ধ করতে না পারাটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
অভাবের কারণে দেশের কোন স্থানে মানুষ না খেয়ে মারা গেছে, এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে ফখরুল ইসলামকে ফোন করলে এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তবে দেশ পিছিয়ে গেছে, এটাই মনে করেন তিনি। দেশের দৃশ্যমান উন্নয়নে যখন বিদেশিরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ তখন, কোন গবেষণার ভিত্তিতে দেশকে দরিদ্র হিসেবে দাবি করছেন, এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির চোখে যা পড়েছে, তাই বলা হয়েছে। সব কিছুর এত ব্যাখ্যা দিতে পারব না বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।
+ There are no comments
Add yours