নিউজ ডেস্ক : সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস অর্থাৎ জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির এক সুধী সমাবেশ ও নৈশভোজ অুনষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির আহ্বায়ক বিতর্কিত বিএনপিপন্থী সুশীল ফরহাদ মজহার এবং সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ যাকে সদ্য বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইনসাফ কায়েম কমিটিকে কেন্দ্র করে আতঙ্কে রয়েছেন বিএনপি নেতারা। আর এ কারণেই বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং অনেক নেতাকে রাখা হয়েছে নজরদারিতে।
জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির এক সুধী সমাবেশ ও নৈশভোজে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রায় ২৭ জন সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো। তারা নৈশভোজে অংশ না নিলেও তাদের সাথে ফরহাদ মাজাহার, শওকত মাহমুদদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। এবং তারা বিএনপির বর্তমান শীর্ষ নেতাদের বাদ দিয়ে আলাদাভাবে একটি জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, সাবেক রাষ্ট্রদূত সাকিব আলী, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানসহ পুলিশের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছিলেন ওই নৈশভোজে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাও ওই নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন।
সূত্র বলছে, এরা সবাই মিলে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেতাকে বের করে এনে নতুন জাতীয় সরকার গঠনের পাঁয়তারা করছে। এবং তারা বলে বেড়াচ্ছেন-যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পাশে আছেন। মূলত, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং মির্জা ফখরুলকে বাদ দিয়ে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ইনসাফ কমিটিতে ভেড়ানোই এদের নতুন ষড়যন্ত্র। বিএনপি নেতাদের ভেড়াতে প্রচুর টাকার প্রলোভোনও দেখাচ্ছে তারা। তাই ইনসাফ কমিটি এখন বিএনপির কাছে আতঙ্কের নাম।
+ There are no comments
Add yours