অর্থ পাচার ও দুর্নীতি : ড. ইউনূসের নোবেল প্রত্যাহারের দাবি

1 min read

নিউজ ডেস্ক : ‘শান্তিতে নোবেল জয়ী’ ড. ইউনুসের অবিশ্বাস্য অর্থপাচার ও নানা আর্থিক দুর্নীতি এবং অন্যান্য অপরাধের সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো সামনে আসায় প্রমাণ হয় তিনি একজন দুর্নীতিবাজ। একইসঙ্গে প্রতারক। তাই দেশের বিজ্ঞজনরা বলছেন- মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির মতো ড. ইউনূসের নোবেল পুরস্কার বাতিলের দাবি তোলা উচিত।

গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, আমাদের বিশ্বাস তার এই ভয়াবহ অর্থপাচার, দুর্নীতি ও অন্যান্য অপরাধ এবং শ্রমিক অধিকারমূলক মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য প্রকাশিত হলে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির মতো তারও নোবেল পুরস্কার বাতিলের দাবি উত্থাপিত হবে সারা পৃথিবীতে।

এদিকে দুদকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, সামাজিক ব্যবসার নামে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার তথ্য। জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে ব্যক্তি নামে বিভিন্ন দেশে সম্পদ ক্রয় করেছেন। বিভিন্ন দেশে রয়েছে একাধিক ব্যবসা। এর কিছু অংশ বিদেশে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কাজে লবিস্টের পিছনে ঢেলেছেন। এইসব তথ্য প্রকাশিত হলে সবাই শান্তিতে নোবেল পাওয়া এই ব্যক্তির প্রতি ধিক্কার জানাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে গ্রামীণ টেলিকম তথা গ্রামীণফোনের লাইসেন্স গ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। লাইসেন্স গ্রহণের পূর্বে তিনি সরকারের কাছে অঙ্গীকার করেছিলেন গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তিনি গ্রামীণফোনের লাইসেন্স নিতে চাচ্ছেন। অঙ্গীকার করেছিলেন কোন মুনাফার জন্য নয় বরং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে সেবা প্রদানই হবে এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য। মূলত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণ টেলিকমের লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। লাইসেন্স গ্রহণকালে দেশের দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের অঙ্গীকার করলেও ড. ইউনুস শুধু নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যা যা করণীয় তার প্রতিটিই করেছেন।

দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে গ্রামীণফোনের অধিকাংশ শেয়ার বিদেশী কোম্পানির হাতে তুলে দিয়েছেন। অনেকেই মনে করেন, এর বিনিময়েই পরবর্তীতে তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ড. ইউনুসের কারণেই প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে নরওয়েজিয়ান কোম্পানি টেলিনর।

এখানে বলে রাখা ভালো- নোবেল পুরস্কার দুটি দেশ থেকে দেওয়া হয়। সুইডেন থেকে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও অর্থনীতির উপর এবং নরওয়ে থেকে শান্তির উপর নোবেল প্রাইজ দেওয়া হয়। আর আমাদের ইউনূস সাহেবকে অর্থনীতিতে না দিয়ে কেন শান্তিতে নোবেল দেওয়া হলো– এই প্রশ্নের উত্তর সকলেরই জানা। শান্তিতে নোবেল সব সময় কৃতিমানদের দেওয়া হয়েছে, তা নয়। মনে করা হয় পুঁজিবাদী দুনিয়ার স্বার্থরক্ষাকারী কাউকে কাউকে বিশেষ ‘ইনাম’ হিসেবে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হয়। গরিব শোষণের রাস্তা দেখিয়ে দেওয়াই যে ইনাম পেয়েছে ড. ইউনূস।

এখন এই ভদ্রবেশি রক্তচোষার আসল চরিত্র সামনে আসায় তার নোবেল পুরস্কার বাতিলের দাবি ওঠা সময়ের ব্যাপার।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours