নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ইতিহাসে মাত্র পাঁচ বছরে মোট আটবার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘটনা আর কোনো সরকারের সময় হয়নি। জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াত রেকর্ড করেছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০১ সালের অক্টোবরে কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের মাত্র আড়াই মাসের মাথায় ২৭ ডিসেম্বরে ডিজেল, কেরোসিনসহ প্রায় সকল জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছিল।
এরপর একে একে মোট আট দফায় ২০০৩ সালের ৬ জানুয়ারি, ২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর, ২০০৫ সালের ২৫ মে, ২০০৫ সালের ২০ জুলাই, ২০০৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সালের ৯ জুন, ২০০৬ সালের ২৬ জুন জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করে বিএনপি-জামায়াত জোট।
অর্থাৎ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার তাদের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হওয়ার অব্যবহিত পূর্বেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে গিয়েছিলো। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে মাত্র পাঁচ বছরে মোট আটবার জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছিল। অথচ ঐ সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য অনেক নিম্ন পর্যায়ে ছিল। ২০০১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়কালে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের গড় মূল্য ছিল মাত্র ৪১.৪৫ ডলার।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে সরকার গঠনের মাত্র সাত দিনের মাথায় ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ডিজেল এবং কেরোসিনের মূল্য কমিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০০৯ সাল থেকে এ যাবৎ মোট পাঁচবার জ্বালানি মূল্য কমানো হয়েছে।
অথচ বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে যখন জ্বালানি সমস্যা প্রকট হয়েছে তখন একপ্রকার বাধ্য হয়েই সরকারকে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করতে হয়। যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নিশ্চয়তার অংশ মাত্র। এরপরও এ নিয়ে দেশবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে দেশবিরোধী অপশক্তি। তাই কুচক্রীমহলের ষড়যন্ত্র-গুজবের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ হয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
+ There are no comments
Add yours