ছোটবেলা থেকেই বেয়াদব তারেক, লেখাপড়ায়ও ডাব্বা মেরেছেন বারবার

1 min read

নিউজ ডেস্ক : ব্যবহার বা কথা বলা নিয়ে তারেক রহমানকে বেয়াদব উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন বিএনপি নেতা অবসরপ্রাপ্ত নেতা মেজর আক্তারুজ্জামান। তারেক তার নিজ বক্তব্যে কোন রকম সম্বোধন ছাড়াই জাতির পিতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি নাম ধরে উল্লেখ করেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপির এই নেতা তারেককে বেয়াদব বলেন। একই ব্যাপার নিয়ে বিএনপি নেতা প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমানের স্ত্রী শাহেদা ওবায়েদ তারেককে ‘বিশ্ব বেয়াদব’ ঘোষণা করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই জিয়া-খালেদা পুত্র তারেক রহমান বেয়াদব প্রকৃতির ছেলে ছিলো। তাছাড়া পড়াশোনা না পারা ও অনিয়মের কারণে অনেকবার স্কুল পাল্টাতে হয়েছে তারেককে। দিনে দিনে তার অসভ্যতা-বেয়াদবিও তার বয়সের সাথে বাড়তে থাকে।

স্কুলজীবনে তারেক যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনো করেছেন সব ক’টিতেই তার সম্পর্কে নেতিবাচক রিপোর্ট রয়েছে। স্কুল পরিবর্তনের পর পরই প্রথম দিকে নম্র-ভদ্র সেজে থাকলেও কিছুদিনের মধ্যেই তার আসল পরিচয় প্রকাশ হয়ে যেতো বলে জানায় তার সহপাঠীরা। মূলত স্কুল জীবনে টিকতে না পারার প্রধান কারণ শুধু পড়াশোনায় খারাপ হওয়াই নয়, মেয়েদের উত্যক্ত ও যৌন হয়রানিও ছিলো অন্যতম কারণ। বাবা-মায়ের ক্ষমতার জোর দেখিয়ে শিক্ষকদের সাথে বেয়াদবি ছিলো তার নিত্য কর্ম। এমনকি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের মারধর করার অভিযোগও পাওয়া যায় অনেক।

এছাড়াও জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকার সময় একাধিক সেনা কর্মকর্তার সাথেও বেয়াদবি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেনাপ্রধানের ছেলের পরিচয়ে একাধিক সেনা কর্মকর্তাকে অপদস্থ করার অভিযোগও রয়েছে জিয়ার এই কুলাঙ্গার ছেলের বিরুদ্ধে।

রাজনীতিতে আসার পরও এই অভ্যাস বদলায়নি তারেকের বরং বেড়েছে বলেই তথ্যসূত্রে জানা যায়। বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালীন তার এই বেয়াদবি অতীতের সকল মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। ক্ষমতাচ্যুত হবার পরও থামেনি তার উগ্র আচরণ, অসভ্যতা। জাতীয় পার্টির চেয়ারপারসন ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের সাথে জোট গঠন করতে গিয়ে আসন ভাগাভাগির এক পর্যায়ে এরশাদকে অপমান করেছিলো তারেক। ওই অপমানের কথা এরশাদ নিজের মুখে স্বীকার করেছিলেন। এরশাদ বলেন, তারেক আলোচনার এক পর্যায়ে বলে, ‘আঙ্কেল if you don’t come tommorow, we don’t need you.’ নির্বাচনী খরচের বিষয়ে তারেক এরশাদকে বলেন, ‘নির্বাচনের টাকা এমপিরা আমার কাছ থেকে নেবে, আপনাকে দেবো না, আপনি ওদেরকে দেবেন না।’

আর এখন তো বিএনপির সর্বেসর্বা তারেক রহমান। অযোগ্য হলেও খালেদার জেল হবার পর দলের ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান পদ দখল করে তারেক জিয়া। দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ, গালাগালি করা তার প্রতিদিনের রুটিন। তাকে নিয়ে দলের ভেতর মতবিরোধ থাকলেও তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই কারও। কারণ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গেলেই রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস। তাই মুখ বুঝে সহ্য করেন দলটির নেতারা। অনেকে আবার প্রকাশ্যেই বলেন, ‘তারেক রহমানের ব্যবহারে আমরা অতিষ্ঠ’।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours