তারেক রহমানের মানি লন্ডারিং, বিদেশে অবৈধ সম্পদ-বিলাসিতার রহস্য উন্মোচন!

1 min read

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে মামলার ভয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেলেও এখন সেখানেও মামলার ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ পর্যন্ত লন্ডনেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ১৪টি। এর মধ্যে দুটি মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত মামলা। বাকি ৪ মামলা হয়েছে সন্ত্রাস এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে।

১৪ মামলার দুটিই করেছে ব্রিটিশ ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি তদন্ত বিষয়ক সংস্থা ইকোনোমিক ইন্টেলিজেন্স। আর বাকি ১২টি মামলা করেছে বিভিন্ন ব্যক্তি। এর মধ্যে মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় তারেক রহমান ফেঁসে যেতে পারেন এবং এই মামলায় তাকে খুব শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি করা হতে পারে বলে জানা গেছে যুক্তরাজ্যের তদন্ত সংস্থার বরাতে।

সম্প্রতি স্ট্যান ব্যাংকে তারেক জিয়া এবং তার স্ত্রীর ৬০ হাজার পাউন্ড আটক করা হয়েছে। সেই টাকাটাই বাংলাদেশ সরকার জব্দ করার অনুরোধ জানিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে একটা পিটিশন পাঠিয়েছিলো। এ ঘটনায় মানি লন্ডারিং নিষ্পত্তি সংক্রান্ত ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট প্রশ্ন করেছে যে, তারেক রহমান এই টাকাটা কোথায় পেল এবং তিনি এই টাকাটা কোথায় পাঠাতে চাচ্ছিলেন। এই টাকা যদি অবৈধ হয় তাহলে টাকা কেবল জব্দই হবে না, এজন্য তারেক রহমানকে শাস্তিও পেতে হতে পারে। এধরণের অপরাধ প্রমাণিত হলে অপরাধীকে তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সাজা ভোগ করতে হবে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার এই মাস্টারমাইন্ড লন্ডনে অবস্থান করছেন দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে। সেখানে দেখা যায় তার চোখ-ধাঁধানো বিলাসী জীবন। এই অর্থের উৎস কোথায়? অনুসন্ধান বলছে, দেশ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচার হচ্ছে তারেকের কাছে। বিশেষ করে সিলেট থেকেই যাচ্ছে বেশির ভাগ অর্থ। এ ছাড়া লন্ডনে অবস্থানরত সিলেটি রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী থেকেও পাচ্ছেন টাকা।

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী, তারেক রহমান আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। লন্ডনে বিভিন্ন বাঙালি রেস্টুরেন্টের মালিকরা তারেক রহমানকে অর্থ যোগান দিচ্ছেন। তাদের মধ্যে বেশিসংখ্যক ব্যবসায়ীর বাড়ি আবার সিলেটে। সিলেটি এসব বিএনপি সমর্থিত ব্যবসায়ী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাব দ্রুত তলব এবং জব্দ করা হবে।

তারেক রহমান লন্ডনে এনফিল্ড টাউন ও সাউথ গেট এলাকার মাঝামাঝি যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার একটি বিলাসবহুল বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। লন্ডনে যাওয়ার পর আলোচিত বিএনপি নেতা তার ব্যক্তিগত জাগুয়ার গাড়িটি তারেক রহমানকে দিয়ে দেন। মাসিক ৮শ পাউন্ড বেতনে গাড়িটির চালক হিসেবে নিয়োগ পান শরীফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। পরে তারেক জিয়া ক্যাব্রিজ হিথ রোড থেকে দুটি বিলাসবহুল গাড়ি কেনেন। এর মধ্যে একটি বিএমডব্লিউ সেভেন সিরিজের। অপরটি অডি।

লন্ডনে তারেক রহমানের এমন বিলাসী জীবন যাপনের অধিকাংশ অর্থই অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে পাচার হওয়া।

এর আগে তারেক রহমানের অন্যতম অর্থদাতা হিসেবে বিএনপির নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়ালের নাম আসে। এই অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। দুদক সূত্র জানায়, তাবিথের পর অন্তত ১০ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে লন্ডনে অবৈধ অর্থপাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours