নিউজ ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী পোস্ট দিয়েই যাদের দিনের শুরু হয়, তাদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের ‘গুজব সেল’র জুলকার নাইন সামি ও তাসনিম খলিল অন্যতম। তাদের নিয়ন্ত্রিত গংয়ের মাধ্যমে দিনরাত চলে সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধাচারণ করে একের পর এক মেরুদণ্ডহীন প্রচারণা। ২৭ ফেব্রুয়ারি (রোববার) শুরু হলো তাদের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম। এতে বিশিষ্টজনরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও নাখোশ হয়েছেন তারেক রহমানসহ এর নেপথ্য খলনায়করা, তথ্য একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের।
সূত্রটির তথ্যমতে, ২৭ ফেব্রুয়ারি (রোববার) ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার আসামি ও আল জাজিরা টেলিভিশনে সম্প্রতি প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকার নাইন সায়ের খান ও নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিলসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। রাজধানী ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে আজ এই অভিযোগ গঠন করেছেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভুঁইয়া, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ। এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর আদালত এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে কারাগারে আটক অবস্থায় আসামি লেখক মুশতাক আহমেদ মারা যাওয়ায়, তাকে সহ চারজনকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আসামিরা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। তার প্রেক্ষিতেই এই মামলা করা হয়। পরবর্তীতে তদন্তে আসামিদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণও পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অপরাধীদের বিচার হবে, তারা সাজা পাবে, এটাই স্বাভাবিক। সামি-তাসনিম খলিলদের বেলাতেও তাই হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়েও কথা বলতে ছাড়ছে না বিএনপি-জামায়াত। তারেক রহমান বলছেন, এটা অন্যায় হচ্ছে। তাহলে তিনি যে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, নিজের আখের গুছিয়েছেন, এতিমের টাকা মেরেছেন, সেটা খুব ন্যায় হয়েছে? প্রশ্ন ছুঁড়লাম, তার কাছেই।
+ There are no comments
Add yours