যে কারণে ভাষা দিবস পালন করতে চাইছেন না তারেক রহমান

1 min read

নিউজ ডেস্ক: নিজেকে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচয় দিলেও বাংলাদেশের কোনো জাতীয় দিবস, এমনকি ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিবস পালন করেন না লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

লন্ডনভিত্তিক একাধিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে নিজেকে বাংলাদেশি দাবি করেও প্রতিটি জাতীয় দিবস পালনেই অনীহা প্রকাশ করেন তারেক রহমান।

একটি গোপন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ইস্ট লন্ডনের আলতাব আলী পার্কসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ৮টি শহীদ মিনার রয়েছে। কিন্তু এক যুগেরও বেশি সময় থেকে লন্ডনে বসবাস করে আসা তারেক রহমান সেখানকার কোনো শহীদ মিনারেই যান না। গত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারের ২১শে ফেব্রুয়ারিতেও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে শহীদ মিনারে যাননি তারেক রহমান। যদিও জাতীয় দিবস পালন করা বাদ দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। বাইরে বাংলাদেশি সাজার অভিনয় করলেও দেশীয় কৃষ্টি-কালচার ও সংস্কৃতির প্রতি তারেক রহমানের কোনো শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নেই। এমনকি তারেক রহমানের স্ত্রী ও কন্যাদেরও দেশের কোনো জাতীয় অনুষ্ঠানে দেখা যায় না বলে জানা গেছে। বিদেশে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে তারেকের এমন অবহেলা ও অবজ্ঞার কারণে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে প্রায়শই বাঙালি কমিউনিটির সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

তারেক রহমানের এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে খোদ যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিককেও একাধিকবার বাঙালিদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে রাতে নামী-দামি রেস্তোরাঁয়ও দেখা মিলে তারেকের। দলীয় নেতাকর্মীদের পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলোতে তার সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। কিন্তু জাতীয় দিবসে তারেকের কোনো আগ্রহ নেই। তারেক রহমানের এমন স্বদেশবিরোধী আচরণের কারণে যুক্তরাজ্যের মতো দেশে বিএনপি বিতর্কিত হচ্ছে বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন খোদ দলটির নেতৃবৃন্দ। কিন্তু পদ হারানোর ভয়ে কেউ তারেকের এমন বৈরী আচরণের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেন না বলেও জানা গেছে।

এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য বসবাসকারী একজন জাসদ নেতা বলেন, তারেক রহমানের রাজনৈতিক জীবনে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মুজাহিদের প্রভাব ছিলো প্রবল। এমনকি মুজাহিদ তারেক রহমানের অলিখিত রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। সেই প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে তিনি এখন আর বাংলাদেশি অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না। এজন্যই জাতীয় দিবসগুলোতে জাতির বীর সন্তানদের সম্মান জানান না। বিষয়টি প্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছু নয়।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours