লবিস্ট নিয়োগের অর্থের উৎস গোপন করেছে বিএনপি

1 min read

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া গত দশ বছরে বিএনপির ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় ২৮ কোটি টাকা। অথচ ২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তিন লবিস্ট ফার্মে ৪১ লাখ ডলার বা ৩১ কোটি ২৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে বিএনপি।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, লবিস্ট ফার্মগুলোকে পরিশোধ করা এই টাকার বিষয়টি গোপন করেছে বিএনপি। ফলে এটি মানি লন্ডারিংয়ের পর্যায়ে পড়ে।

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লবিস্ট নিয়োগ ও কোটি কোটি টাকা খরচের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া রিপোর্টে যুক্ত নেই। প্রশ্ন উঠেছে, লবিস্ট নিয়োগে বিএনপির ৪১ লাখ ডলার বা ৩১ কোটি ২৮ লাখ টাকা খরচের অর্থের উৎস কোথায়?

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারেক রহমানের চলমান কমিশন বাণিজ্য, কমিটি বাণিজ্য এবং মনোনয়ন বাণিজ্য করে এই বড় ধরনের অর্থ লন্ডনে পাচার করেছে দলটি। সেখান থেকেই লবিস্ট ফার্মগুলোকে পরিশোধ করা হয় এই অর্থ।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিআইবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বিএনপি কীভাবে লবিস্ট নিয়োগ করেছে তা জনসম্মুখে আনা দরকার। অর্থ পরিশোধের বিষয়টিও প্রকাশ করা প্রয়োজন, যেহেতু বিএনপির লবিস্ট নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট কোনো তথ্য নেই। তাহলে লেনদেনটি অবৈধ উপায়ে হয়েছে, যা মানি লন্ডারিংয়ের পর্যায়ে পড়ে।

বিএনপির অর্থ ব্যয়ের হিসাব বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, লবিস্ট নিয়োগে তারা যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে তা দলটির দশ বছরের মোট ব্যয়ের থেকেও বেশি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সকল নাটকীয়তা ও জলঘোলা শেষে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে লবিস্ট নিয়োগের কথা স্বীকার করেছে বিএনপি।

তারা বলেন, দেশকে ভেতর থেকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে বিএনপি যে লবিস্ট নিয়োগ করেছে, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করে দেশদ্রোহীর কাজ করেছে। আর সবচেয়ে বড় বিষয়- দলটি যে পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে তা তদন্ত করে জনগণের সামনে আনা উচিত। তারা যে নিজেদের স্বার্থের জন্য দেশকে বিক্রি করে দিতে পারে তা আবার প্রমাণ হলো।

+ There are no comments

Add yours