২০২৩ সালের আগেই নিঃশেষে হবে বিএনপি

0 min read

নিউজ ডেস্ক : সরকারের অনুকম্পায় বিএনপির দুর্নীতিগ্রস্থ চেয়ারপারসন বর্তমানে তার গুলশানের বাসায় বহাল তবিয়তে আছেন। তবে তার অনুপস্থিতিতে বিএনপির অবস্থা নাজেহাল। বর্তমানে বলা চলে বিএনপি একেবারেই নিষ্প্রাণ হয়ে গিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বিএনপি আর বড় জোর দুই বছর টিকবে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিভিন্ন কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়বে। জামায়াত বিলুপ্ত হলে বাংলাদেশে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলার কোন রাজনৈতিক দল থাকবে না।’ স্বাধীনতা বিরোধীদের সংগঠন জামায়াতে ইসলামী তার সর্বশেষ মজলিসে শূরার বৈঠকে এই অভিমত ব্যক্ত করে। দুই সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে জামায়াত ২০ দল ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়। ওই বৈঠকে জামায়াত বিলুপ্ত করে নতুন দল গড়ার সিদ্ধান্তও নাকচ করা হয়। এছাড়া ৭১ এর ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাবও নাকচ করে জামাতের নীতি নির্ধারণী এই কমিটি।

সারাদেশ থেকে জামায়াতের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ে মতামত পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের জন্য ঐ মজলিশে শূরার বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে ২০ দল প্রসঙ্গে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাতে বলা হয় যে ‘২০ দলীয় জোটের প্রধান দুই শরীক হলো জামায়াত এবং বিএনপি। তবে জামায়াত থেকে অনেকটাই দূরে সরেছে বিএনপি। আর এ কারণেই বিএনপির কোনো সভায় জামায়াতকে দেখা যায় না। কারণ বিএনপি ভাবে তারা জামায়াত ছাড়াই চলতে পারবে। ফলে জামায়াতের এখন বিএনপির সঙ্গে থাকার কোন যৌক্তিক ভিত্তি নেই।’ শূরার বৈঠকে বলা হয়েছে ‘বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া বিএনপিকে চালানোর মতো নেতৃত্ব নেই। তাই আগামী দুই বছরের মধ্যে বেগম জিয়া যদি মুক্তি না পায় তাহলে বিএনপি বিলীন হয়ে যাবে।’

বৈঠকে সারাদেশ থেকে আসা জামায়াত বিলুপ্তির প্রস্তাব নাকচ করে বলা হয় যে ‘ইসলাম বিরোধী শক্তি এটাই চাইছে। আমাদের পথ কঠিন এবং দুরূহ। কিন্তু এই পথ পেরুতেই হবে। এখানে বিশ্রামের কোন অবকাশ নেই।’ শূরার বৈঠকে বলা হয় ‘জামায়াতে ইসলামীর জন্য এরকম কঠিন পরীক্ষা নতুন নয়। এরচেয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জামায়াতের নেতারা সংগঠন করেছে। তাই জামায়াতকে বিলোপের চিন্তা মাথা থেকে নামিয়ে আরো একনিষ্ঠভাবে সংগঠনের জন্য কাজ করতে হবে। ৭১ এর ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গে ‘অবান্তর’ এবং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে নাকচ করে দেয়। তৎকালীন সময়ে জামায়াত ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েছিল।’

জামাতের বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, জামায়াতের বর্তমান মজলিশে শূরা যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিতদের পক্ষের লোকজন দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত, তাই শূরায় এরকম সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু শূরার এমন সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সারা দেশে। শিগগিরই জামায়াতে দলত্যাগ এবং গণ পদত্যাগ শুরু হবে বলেও একাধিক জামায়াত নেতা আভাস দিয়েছেন।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours