বকশিশ দেয়ার ভয়ে আত্মগোপনে তারেক রহমান

1 min read

নিউজ ডেস্ক: হঠাৎ করেই যোগাযোগ বন্ধ করে নেটওয়ার্কের বাইরে চলে গেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন ও দেশের কোন নেতাকর্মীই তাকে ফোন কিংবা স্কাইপিতে নাগালে পাচ্ছেন না। অনেকেই ধারণা করছেন, দলীয় দুস্থ নেতাকর্মীদের বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অনুদান দেয়ার ভয়েই তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। আবার কেউবা বলছেন, নিজ বাসায় ডালিয়াদের নিয়ে পার্টির আয়োজনে ব্যস্ত থাকায় ফোন-ইন্টারনেট থেকে দূরে আছেন তিনি।

লন্ডনের কিংস্টনভিত্তিক একটি সূত্র বলছে, অন্যান্য সময় তারেকের দেখা পাওয়া গেলেও বিগত কয়েকদিন ধরে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমনকি একাধিকবার তার বাসায় গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি মুঠোফোন কিংবা স্কাইপিতেও। তবে তিনি বাসাতেই আছেন, এমনটা জানিয়েছেন তার বাসার গৃহকর্মী। মূলত অর্থ ক্ষয় যাবার চিন্তায় তিনি এই দলীয় কর্মীদের বকশিশ প্রদানের ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। কারণ, তিনি জানেন নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করা মানেই নিশ্চিত সাহায্য-সহযোগিতা চাইবেন। এজন্য সবার আড়ালে চলে গেছেন খালেদাপুত্র।

আরো জানা গেছে, তারেক রহমান মুখে মুখে সহায়তার কথা বললেও এখন অবধি পকেট থেকে একটি টাকাও বিতরণ করেননি তিনি। উপরন্তু অপরের দেয়া ত্রাণ নিজের দেয়া বলে দাবি বলে কৃতিত্ব জাহির করেন। দলীয় স্বার্থে নেতাকর্মীদের একটি অংশ তার এই স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিলেও আদতে তার প্রতি কেউই খুশি নন। এ কারণে ইতোমধ্যে অনেকেই তার সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। আর বর্তমানে যারা ‘আজ্ঞাবহ’ হয়ে রয়েছেন, তারা তারেকের কাছে ‘মদ ও মনোরঞ্জনের আড়ালে’ নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য যান।

এদিকে, দেশেও লন্ডন থেকে কোন সাহায্য পাঠাননি বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ফলে হাজার হাজার দুঃস্থ দলীয় কর্মীরা ‘চোখের জলে’ বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের কথা ভেবে দ্বারস্থ হচ্ছেন সরকার দলীয়দের। কিন্তু ওদিকে ঠিকই বিভিন্ন মহল থেকে করোনা ও আম্পান দুর্গতদের সহায়তার কথা বলে ফান্ড গঠন করে সেই টাকায় রাজকীয় স্টাইলে ঈদ উদযাপনের কথা ভাবছেন তারেক। এমনকি বাসায় ডালিয়াদের নিয়ে পার্টি করার জন্য বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ ও নেশাজাতীয় দ্রব্য আনিয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতি চর্চা ও স্বার্থপরায়ণতার বৃত্তে তারেক রহমানের অহর্নিশ পথচলা। এ কারণে তিনি বারবার দলের নেতাকর্মী ও জনগণকে ফাঁকি দিয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করেন। এ অভ্যাস তার পুরনো। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours