মির্জা ফখরুলকে মিটিংয়ে রেখে বাকি নেতাদের প্রস্থান

0 min read

নিউজ ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উপর নাখোশ দলের কেন্দ্রীয় থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বিষয়টি বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে ধ্রুব সত্য হলেও তা স্পষ্ট হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ৯ আগস্টে করা বিএনপির একটি জুম মিটিংয়ে।

এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেললেও তা আবারও প্রকাশ্যে এসেছে মির্জা ফখরুলের হতাশায়। জানা গেছে, ওইদিন দলের সিনিয়র নেতাদের বক্তব্য শেষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে মিটিং থেকে লিভ নিতে শুরু করে নেতাকর্মীরা। শেষমেশ মিটিংএ শুধুমাত্র মির্জা ফখরুল উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা তাকে অবজ্ঞা করার নিমিত্তে জুম মিটিং ত্যাগ করেন।

সূত্র বলছে, ওইদিন সকাল ১১ টা থেকে শুরু হওয়া জুম মিটিং ১২ টায় শেষ হওয়ার কথা ছিলো। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ১১ টা ৫০ মিনিটে সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার আগেই নিজেদের পিসি থেকে মিটিং লিভ বাটনে ক্লিক করে অন্য নেতারা মিটিং ত্যাগ করেন। মিটিংয়ে সমগ্র বাংলাদেশের অন্তত দুইশতাধিক বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যের আগেই মিটিং থেকে চলে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপির কর্মী বলেন, মূলত মির্জা ফখরুল ইসলামের প্রতি বিরক্ত সর্বস্তরের নেতারা। মির্জা ফখরুলের কারণেই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির দিতে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। এক নয় একাধিক কারণে বিতর্কিত তিনি। মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে নেতাকর্মীরা সেই বিক্ষুব্ধ মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছে।

শহীদুল ইসলাম নামে অন্য একজন কর্মী বলেন, মির্জা ফখরুলের আঁতাতের কারণেই খালেদা জিয়া আজও অবরুদ্ধ। দলের নেতাকর্মীরা আন্দোলনের পক্ষে থাকলেও তিনি কর্মসূচি দিচ্ছে না। তাই তার বড়বড় কথা শুনতে কেউ আগ্রহী নয়।

এ সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নির্বাচনে পরাজয় ও বেগম জিয়ার বন্দী থাকার জন্য অনেক নেতাকর্মী এখনও মহাসচিবকেই দায়ী করছেন। এই কারণেই তার বক্তব্য বর্জন করতে পারে।

দলীয় সূত্র বলছে, এ ঘটনায় হতাশ মির্জা ফখরুল। তিনি না পারছেন কাউকে কিছু বলতে, না পারছেন সইতে। এমন প্রেক্ষাপটে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours