খালেদার সাথে দেখা করার অনুমতি পাচ্ছেন না রিজভী!

1 min read

ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘ চার মাস পরে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে আবার রাজনীতি শুরু করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। করোনা থেকে অনেক আগে সুস্থ হলেও এতদিন বাধ্য হয়ে ঘরেই বন্দী ছিলেন রিজভী। এবার বের হয়ে শুধু রাজনীতি শুরু নয়, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শেষ দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন রিজভী। এরপরই অজানা কারণে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে রিজভীর জন্য। কিন্তু কী সেই কারণ?

সূত্র জানায়, বিএনপিতে রিজভী-ফখরুল দ্বন্দ্ব এখন হিমালয় চূড়া ছুঁয়েছে। কেউ কাউকে সহ্যই করতে পারেন না। রিজভীর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজের অনুসারী ইমরান সালেহ প্রিন্সকে বসিয়েছেন ফখরুল। এরপর রিজভীকে গৃহবন্দী করে রাখেন। তবে নানা কৌশলে ঘরের বাইরে বের হয়েছেন রিজভী। হয়েই প্রতিশোধের নেশায় রণহুংকার দিয়েছেন মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে। এতেই ভয় পেয়ে মির্জা ফখরুল করোনার দোহাই দিয়ে খালেদা জিয়ার সাথে রিজভীর সাক্ষাতের পথ রুদ্ধ করেছেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাকে অনেক দিন ঘরে আটকে রেখেছিল। এখন ম্যাডামের সাথেও দেখা করতে দিচ্ছে না। তবে আমাকে আটকে রাখতে পারবে না। আমি বাংলার টারজান, যেভাবেই হোক, দরকারে দেয়াল টপকে ম্যাডামের সাথে দেখা করব। দেখা করে আমার ওপর করা অন্যায় এবং দলের দুরবস্থার জন্য কারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলব ম্যাডামকে। এর আগে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে একবার দেয়াল টপকে পালিয়েছিলেন, বিএনপিকে বাঁচাতে প্রয়োজনে আবার দেয়াল টপকে ম্যাডামের সাথে দেখা করব।

রিজভীকে কেন ফিরোজায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, বিষয়টা সেরকম নয়। ম্যাডাম অসুস্থ, এ অবস্থায় আমরা ঝুঁকি নিতে চাই না। করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে সবাইকে ম্যাডামের সাথে দেখা করতে দেয়া হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা এমনিতেই বিপদে। দল একযুগ ক্ষমতার বাইরে। আমাদের একতাবদ্ধ হওয়া দরকার, তা না করে রিজভী-ফখরুল সাহেবরা যা করছেন সেটা দায়িত্বহীনতা। তাদেরকে এসব ছেলেমানুষি বাদ দিয়ে জনগণের জন্য কিছু করার চেষ্টা করার আহবান জানাই।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours