ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টায় বিএনপি

0 min read

নিউজ ডেস্ক: ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সরিয়ে নতুন সরকার গঠনে একমত হয়েছে দেশটির বিরোধীদলগুলো। সেই লক্ষ্যে প্রধান ৮টি বিরোধী দল জোট গঠন করেছে। আর সেই দল বা নতুন সরকারের নেতা হতে যাচ্ছেন ইয়ামিনা দলের প্রধান নাফতালি বেনেত। এরপরই বিশ্বব্যাপী আলোচনায় তিনি। সবার মুখে একটাই প্রশ্ন, কে এই নাফতালি বেনেত? সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতেও নাফতালি বেনেতের দ্বারস্থ হতে চাচ্ছে বিএনপি, এমন খবরও চাউর হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

জানা গেছে, ডানপন্থী ইহুদি ধর্মীয় দল ইয়ামিনার প্রধান নাফতালি বেনেত রাজনীতিতে প্রবেশের পূর্বে প্রযুক্তি খাতে মিলনিয়ার ছিলেন। তারও আগে তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সহকারী হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। আর এখন তাকেই সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। ইসরায়েলি দখলদারিত্বের কট্টর সমর্থক এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিরোধী হিসেবেও পরিচিত এই নেতা।

এদিকে, বিএনপি ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক তেমন ভালো নয়। তবে ইসরাইলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ইসরাইলের নব্য প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হচ্ছে বিএনপি। যদিও ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সকলেই জানে, ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অসংখ্য নিরীহ মুসলিমদের হত্যা করেছে। শত সমালোচনার সত্ত্বেও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বিএনপি। আর এ কারণে ইসরায়েলের নতুন দল ইয়ামিনার সঙ্গে যেকোন সন্ধি করতে প্রস্তুত রয়েছে বিএনপি।

নাফতালি বেনতে সরকারের সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ইসরায়েলের গণতন্ত্র সফল হয়েছে। ইসরায়েলের নির্বাচনে ভোটাররা নাফতলি সরকারকে নির্বাচিত করে গণতন্ত্রের পরিচয় দিয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ভিত্তিটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সত্যিকার অর্থে তারাই পৃথিবী শাসন করছে। ফলে তাদের সমর্থন দেয়া দোষের কিছু নয়।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours