নিউজ ডেস্ক: ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ফুঁসছে। এ নদীর স্রোত আরো তীব্র আকার ধারন করছে। এই স্রোতের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে থাকার ঘর, রান্না ঘর, গোয়াল ঘর, স্যানেটারি ল্যাট্রিন, নলকূপ, গাছগাছালিসহ সবই।
এছাড়াও তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে কুড়িগ্রামের ধরলা, বহ্মপুত্র, দুধকুমার নদীতে। এ জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা কালির মেলার অর্ধশতাধিক পরিবারের বাড়িঘর ও বসতভিটা নদীতে চলে গেছে।
হুমকির মুখে পড়েছে মৌলা, তৈয়বখা, ডাংরার হাট ও গাবুর হেলা গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।
বিদ্যানন্দ ইউপি চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম জানান, তিস্তার ভাঙন রাজারহাটে বেড়ে গেছে। বাড়িঘর ও বসতভিটা ভাঙনের শিকার হয়ে এখানকান অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। তিনি তার পরিষদের পক্ষ থেকে এখানকার নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের তালিকা করে সাহায্যের জন্য উপরে আবেদন পাঠিয়েছেন বলে জানান।
এদিকে কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি পনির উদ্দিন আহমেদ শনিবার তিস্তার ভাঙন কবলিত রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা কালির মেলা, দাড়িয়ার পাড়, এবং ছিনাই ইউনিয়নের কালুয়ার চরে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় ভাঙনের শিকার অর্ধশতাধিক মানুষ তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা এমপির কাছে নদী ভাঙনের প্রতিকার চান।
নদী ভাঙন ঠেকাতে এবং নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সরকার নদী খনন ও তীররক্ষা কর্মকাণ্ডে মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ মেগা প্রকল্পে কুড়িগ্রাম অন্যতম অবস্থানে রয়েছে। এ প্রকল্পের আওয়তায় তিস্তা, ধরলা এবং ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন ভাঙন এলাকায় নদী শাসন করা হবে।
+ There are no comments
Add yours