টাঙ্গাইলে অল্প বয়সে বিয়ে করতে চাওয়ায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা

0 min read

নিউজ ডেস্ক: টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় বাল্যবিয়ে করার চেষ্টার অপরাধে বরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেক এ জরিমানা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার খন্দকার আয়েশা রাজিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের বলটিয়া গ্রামের আলী আজমের মেয়ে সাদিয়া আরফিন দিশার সঙ্গে একই উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের মাঝালিয়া গ্রামের ইউনুস খানের ছেলে মাসুদ খানের বিয়ের দিন ধার্য ছিল।

এ উপলক্ষে বিয়েবাড়িতে খানাদানার আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে ওই দিন বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মালেকের নির্দেশে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিনু পারভীন পুলিশ নিয়ে বিয়েবাড়িতে হাজির হন।

তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে কাজিসহ অন্যরা পালিয়ে গেলেও উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের মাঝালিয়া গ্রামের ইউনুস খানের ছেলে বর মাসুদ খান, বরের আত্মীয় আছর উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আলী, চাঁন খানের ছেলে কাবেল খান, বলটিয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে জাহিদ খান ও ধামরাই উপজেলার চৌহাট গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

রাত ১১টার দিকে আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মালেকের অফিস কক্ষে হাজির করা হয়। সেখানে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে কম বয়স হওয়ায় বর মাসুদ খানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে বাল্যবিয়ে না করার জন্য বর এবং বাল্যবিয়েতে সহযোগিতা না করার অন্যরা মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেক বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে অল্প বয়সে বিয়ে করতে চাওয়ায় বরের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া বরসহ সাতজনের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে। বাল্যবিয়ে বন্ধে উপজেলার সর্বত্র এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours