জব্দ হতে পারে ড. কামাল হোসেনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট!

0 min read

নিউজ ডেস্ক: গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং তার প্রতিষ্ঠান ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত যাবতীয় লেনদেনের তথ্য চেয়ে ১৮ এপ্রিল ড. কামালকে নোটিশ দিয়েছে এনবিআর। সাত দিনের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে এ তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

এদিকে গোপন সূত্রের বরাতে জানা যায়, ড. কামাল হোসেন আইনি ব্যবসার অন্তরালে নির্বাচনের আগে ও পরে অনেকবার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। যা স্পষ্টত সন্দেহের সৃষ্টি করে এনবিআরের।

তথ্যসূত্র বলছে, ড. কামালের প্রতিষ্ঠানের নামে সঞ্চয়পত্র বা অন্য কোনো প্রকল্পে বিনিয়োগ বা ঋণ থাকলে সেই তথ্যও পাঠাতে বলেছে এনবিআর। সাধারণত সম্ভাব্য কর ফাঁকি উদ্ঘাটনে এনবিআর ব্যাংক হিসাব তলব করে থাকে। এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ড. কামাল হোসেনের একক বা যৌথ নামে বা তার মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো মেয়াদি আমানত হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট সুবিধা থাকলে ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে হালনাগাদ তথ্য দিতে হবে।

এদিকে বিএনপি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বিএনপির প্রচার ও দলটির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চুক্তিতে ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। এই জন্য তিনি লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। বিশেষ করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তারেক রহমানের কাছ থেকে ড. কামাল হোসেন একাধিকবার নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে অর্থ সহযোগিতা নিয়েছেন। তবে এটি তিনি কিভাবে ব্যাংকে উপস্থাপন করেছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হওয়ায় এনবিআর পদক্ষেপ নিয়েছে।

এই বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, সঞ্চয়পত্র বা অন্য কোনো সেভিং ইনস্ট্রুমেন্টস, বিনিয়োগ প্রকল্প, আমানত প্রকল্প বা অন্য কোনো ধরণের বা নামে হিসাব পরিচালিত হলে সে তথ্যও পাঠাতে হবে ড. কামালকে। এসবের পাশাপাশি ড. কামাল বা তার প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণের বিপরীতে রক্ষিত জামানতের তথ্যও পাঠাতে হবে এনবিআরের কাছে। তার প্রতিষ্ঠানের আড়ালে ভিন্ন ধরণের লেনদেন হচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।

রাজস্ব বোর্ডের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ড. কামাল তার প্রতিষ্ঠানকে নিজের রাজনৈতিক কাজে অপব্যবহার করছেন যার প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে। বিশেষ করে বিগত নির্বাচনের আগে তার প্রতিষ্ঠানে লন্ডন থেকে একাধিকবার অর্থ সহযোগিতা এসেছে। আর সরকারের চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য তিনি অভিনব প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। যা এখন অনেকটা প্রমাণিত। এসব অস্বাভাবিক লেনদেনের জন্য ড. কামাল হোসেনের ব্যাংক হিসাব যে কোন মুহূর্তে জব্দ হতে পারে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours