নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ২৮ বছর পর আগামী ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে নির্বাচন হবে ২৫টি পদে আর হল সংসদে হবে ১৩টি পদে। ১৮টি আবাসিক হল ও কেন্দ্রীয় সংসদ মিলিয়ে কোনো সংগঠন বা জোট সব পদে প্রার্থী দিতে চাইলে ২৫৯ জন প্রার্থী লাগবে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ চার নেতার কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না, তাঁদের বয়স ৩০ বছরের বেশি। শুধু তা-ই নয়, বয়স ও ছাত্রত্ব না থাকায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অনেক নেতাই প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
এদিকে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখার সদস্যসচিব মমিনুল ইসলাম ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। এই বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) শেষ করলেও স্নাতকোত্তর করেননি তিনি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগে বা কোর্সে ভর্তিও নেই। তাঁর বয়স ৩০ বছরের মধ্যে থাকলেও ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না। একই অবস্থা ছাত্রদলের বহু নেতার।
ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের পরিচিত মুখগুলোর প্রায় কারোরই ছাত্রত্ব নেই। এমন পরিস্থিতিতে ডাকসু ও হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীর সংকটে পড়েছে ছাত্রদল। প্রার্থী বাছাই ও নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের পাশাপাশি একক প্যানেল দেওয়া নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।
ছাত্রদলের নেতাদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হয়ে ছাত্রত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। ডাকসু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে তাঁদেরও ভর্তির সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন ছাত্রদল নেতারা।
অবশ্য ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এটি পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এমফিলের ছাত্র। সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস দেড় মাস আগে ভর্তি হয়েছেন ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের সন্ধ্যাকালীন একটি স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে আর সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন আইন বিভাগে স্নাতকে অধ্যয়নরত। সাদ্দাম ছাড়া বাকি তিনজন আইন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ বলেন, ‘প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে ভর্তির একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। সেই সময়ের মধ্যে কেউ ভর্তি না হয়ে থাকলে শুধু ভর্তি করানোর জন্য তো আমরা সুযোগ রাখতে পারি না।’
+ There are no comments
Add yours