নিউজ ডেস্ক: বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের একটি দ্বীপে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের টহলে বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সিএনএন’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী জাহাজ দুটি হলো ইউএসএস স্পুরান্স এবং ইউএসএস প্রেবল। দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের মিসচিফ প্রবালপ্রাচীরের ১২ নটিক্যাল মাইল দূরে দিয়ে যুদ্ধজাহাজ দুটি টহল দিয়েছে।
চীন দক্ষিণ চীন সাগরের কৌশলগত জলপথে জাহাজের অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে বলে মনে করছে ওয়াশিংটন। মার্কিন নৌ-বাহিনী জলপথে ‘অবাধ নৌ চলাচল’র কথা বলে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে এ সামরিক মহরা দিচ্ছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মার্কিন নৌ-বাহিনীর সপ্তম নৌ-বহরের মুখপাত্র কমান্ডার ক্লে দোস সিএনএনকে বলেন, ‘জলপথে নৌ চলাচল বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সমুদ্রে দখলদারিত্ব প্রতিরোধ করতেই এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আমাদের টহল অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক আইনমাফিক।’
সোমবারের এই অভিযানের মাধ্যমে চলতি বছরে দক্ষিণ চীন সাগরে দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধজাহাজ পাঠাল মার্কিন নৌ-বাহিনী। গত জানুয়ারিতে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ইউএসএস ম্যাক ক্যাম্পবেল দক্ষিণ চীন সাগরের প্যারাসাল দ্বীপপুঞ্জের ১২ নটিক্যাল মাইল দূরে দিয়ে টহল অভিযান পরিচালনা করে।
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ায় বিশ্বের অন্যতম দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই যুদ্ধজাহাজ পাঠায়। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই টহলকে ‘নিয়মিত অভিযানের’ অংশ বলা হচ্ছে।
দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরের অধিকাংশ অঞ্চল নিজের বলে দাবি করে আসছে চীন। সেখানকার একাধিক দ্বীপের মালিকানা নিয়ে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ব্রুনেই, মালয়েশিয়া ও তাইওয়ানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। মার্কিন যুদ্ধজাহাহের এমন টহল খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ ওই এলাকায় বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
+ There are no comments
Add yours