এবার প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা প্যাট কামিন্স

1 min read

নিউজ ডেস্ক: ক্যারিয়ারের শুরুটাই ছিল ম্যাচসেরা হয়ে। মাঝে হারিয়ে গেল ৬টি বছর। চোটের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হলেন প্যাট কামিন্স। এরপর দুই বছর না ঘুরতেই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে সম্মানসূচক ‘অ্যালান বোর্ডার’ পদক (বর্ষসেরা ক্রিকেটার) গলায় তুললেন ২৫ বছর বয়সী এই পেসার।

২০১১ সালে কামিন্সের টেস্ট অভিষেকটা হয়েছিল স্বপ্নের মতো। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে ওই টেস্টে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন অজি এই পেসার, হয়েছিলেন ম্যাচসেরাও।

অথচ এই স্বপ্নের শুরুটা বিষাদে ঢাকতে সময় লাগেনি। পিঠের চোটের কারণে ওই টেস্টের পরই দল থেকে ছিটকে পড়েন। ফিরতে ফিরতে কেটে যায় ছয়টি বছর। ২০১৭ সালে ভারত সফরে আবারও দলে জায়গা করে নেন কামিন্স।

এবার আর ভাগ্য বিড়ম্বনায় ফেলেনি। প্রত্যাবর্তন ম্যাচেই এক ইনিংস বোলিংয়ের সুযোগ পেয়ে নেন ৪ উইকেট। তারপর থেকে দলের নিয়মিত সদস্য হয়েই আছেন।

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের বর্ষসেরাদের বেছে নিতে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের হিসেবে ভোটিং হয়েছে। তাতে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন কামিন্স। পাবেনই বা না কেন? বছরজুড়ে তার পারফরম্যান্স যে ছিল চোখ জুড়ানোর মতো! ১৪ ম্যাচে ২৫.৬১ গড়ে নিয়েছেন ৪৪টি উইকেট।

কামিন্সের আগে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা পুরস্কার জিতেছেন মাত্র তিনজন পেসার। কোনো স্পিনার এখন পর্যন্ত এই পুরস্কার জিততে পারেননি। ২০০০ সালে প্রথমবার এই পুরস্কার চালু হবার পর মেডেল জেতেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। এরপর ২০০৮ সালে ব্রেট লি এবং ২০১৪ সালে জেতেন মিচেল জনসন।

রোববার রাতে হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে গত বছরের সেরাদের সম্মাননা জানানোর অনুষ্ঠান। যে অনুষ্ঠানে সেরা ওয়ানডে খেলোয়াড়ের পুরস্কার হাতে নিয়েছেন মার্কাস স্টয়নিস। বর্ষসেরা তরুণ ক্রিকেটার উইল পুকোভস্কি, বর্ষসেরা টেস্ট খেলোয়াড় নাথান লিয়ন, ঘরোয়া বর্ষসেরা ক্রিকেটার ম্যাথু ওয়েড আর বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এছাড়া কমিউনিটি চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন ময়েচেস হেনড্রিকস।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours