বই মেলা হচ্ছে বাঙালির প্রাণের মেলা: প্রধানমন্ত্রী

1 min read

নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বই মেলা হচ্ছে বাঙালির প্রাণের মেলা। নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে অন্যের অসুবিধা হয়। সেই বিবেচনা করে মেলায় আসা হয় না। তবে সত্যি কথা বলতে কি মনটা পড়ে থাকে এই বই মেলায়।

শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমিতে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বইয়ের চাহিদা শেষ হওয়ার নয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান যুগ, ডিজিটাল যুগ। এখন মোবাইল ফোনেই সব কিছু পাওয়া যায়। তরুণ প্রজন্ম মোবাইল ফোন, ডিভাইস ব্যবহার করে। কিন্তু মোবাইলে বা ডিভাইসে বই পড়ে শান্তি পাওয়া যায় না। বইয়ের পাতা উল্টে উল্টে পড়ার মধ্যে যে আনন্দ আছে সেটা অন্যরকম। বইয়ের চাহিদা কখনো শেষ হবে না এটা আমি বলতে পারি। যতই আমরা যান্ত্রিকভাবে ব্যবহার করি না কেন বইয়ের পাতা মলাট এগুলা পড়ার মধ্যে যে আনন্দ আছে সেটা আমরা পেতে চাই। তবে অনলাইনে থাকলে গোটা বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকেই বই পড়া যায়। তাই ‘ডিজিটাল লাইব্রেরি’ গড়ে তোলাটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলনের স্মৃতিচারণা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালির ইতিহাস ত্যাগের ইতিহাস, সে ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমাদের অর্জন। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষ। মাতৃভাষার সম্মান রক্ষা করতে আমাদের দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হয়েছে। ভাষা আন্দোলনের দেখানো পথে এসেছে স্বাধিকার আন্দোলন।

বক্তব্য শেষে মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে স্মারক টিকেটে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি গ্রন্থমেলার কয়েকটি স্টল ঘুরে দেখেন। প্রকাশক ও বিক্রেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এর আগে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর চার ধর্মগ্রন্থ থেকে কিছু অংশ পাঠ, সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন, ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরাবতা পালন ও সিক্রেটস ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্যা নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভলিউম-২ (১৯৫১-১৯৫২) শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ এবং মিসরের লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক মোহসেন আল-আরিশি।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours