নিউজ ডেস্ক: সিনেমার মানুষদের দাবিতে এবার ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড’-এর নাম বদলে যাচ্ছে। ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ নামেই পরিচিত হবে এটি। এ বিষয়ে কয়েক দফায় তথ্য মন্ত্রণালয়ে পর্যালোচনাও হয়েছে।
পাশাপাশি সিনেমা সেন্সরের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুনের ব্যপারেও নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সেন্সর বোর্ডের সদস্য ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।
প্রযোজক-নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা সেন্সর বোর্ডের নাম নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন অনেকদিন ধরেই। এবার সেই দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর উদ্যোগে গত বছরের শুরুতে আইনটির খসড়া তৈরি করা হয়। হাছান মাহমুদ তথ্যমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর এবারই প্রথম আলোচনায় উঠছে বিষয়টি।
জানা গেছে, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ের আরেকটি বৈঠকে পর্যালোচনার পর নাম বদলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। অনেক নির্মাতাদের অভিযোগ ছিল, সেন্সরশিপ শব্দটি নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা হয়।
‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড’ ১৯৬৩ সালের ‘চলচ্চিত্র সেন্সরশিপ আইন’ ও ১৯৭৭ সালের ‘চলচ্চিত্র সেন্সরশিপ বিধি’ অনুসারে পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন’ পাস হলে নতুন নীতিমালায় আরও কিছু বিষয় যুক্ত হবে। যেমন, পোস্টারের মতো ট্রেলারও প্রকাশ করতে হবে সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে। কোন সিনেমা কোন বয়সের দর্শকের জন্য সেই ‘গ্রেডিং সিস্টেম’ও চালু হবে এবার।
বর্তমান নীতিমালায় থাকবে সিনেমার পোস্টার, ডায়াগ্রাম, স্কেচ, হ্যান্ডবিল প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারেরও নীতিমালা। এসব নীতি না মানা হলে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, অথবা দশ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।
ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘সেন্সর বোর্ডের নাম বদল হয়ে সার্টিফিকেশন বোর্ড হচ্ছে। এটা অবশ্যই আমাদের সিনেমার জন্য পজেটিভ। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতেও সেন্সর বোর্ড বলে কিছু নেই, আছে সার্টিফিকেশন বোর্ড।
আসলে সেন্সর বোর্ড তো ছবি মুক্তির সার্টিফিকেট দেয়। কাজের সঙ্গে নামের মিল হচ্ছে এবার। এছাড়া নতুন যে নীতিমালা যুক্ত হচ্ছে এগুলো বাংলা সিনেমার সুফল বয়ে আনবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
+ There are no comments
Add yours