২১৭ নেতা বহিষ্কার, পলাতক তারেকের অপরিপক্ক নেতৃত্বের মাশুল

0 min read

নিউজ ডেস্ক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পলাতক তারেক রহমান তার পছন্দের ব্যক্তিদেরকে দলে রাখছেন। যাদের অপছন্দ করেন তাদের দল থেকে বের করে দিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতি মানছেন না। গঠনতন্ত্রকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দলের ভেতর ভয়ঙ্কর এক আধিপত্য ধরে রেখেছেন তারেক রহমান। তাই ২১৭ নেতাকে করেছেন বহিষ্কার।

তারেক রহমানের একের পর এক এমন সিদ্ধান্তে টালমাটাল অবস্থা দলের। তাই নেতাকর্মীদের মাঝেও সৃষ্টি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ এবং কোন্দল।

সদ্য বহিষ্কৃত এক নেতা বলেন, দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, উপজেলা নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি নির্দলীয় ধরনের নির্বাচন। এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তারা ব্যবহার করবে না। এক্ষেত্রে কেউ যদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে সেটি তার নিজস্ব ব্যাপার। এজন্য দল থেকে বহিষ্কার করা বাঞ্ছনীয় নয়। দলের শীর্ষ নেতাদের অবস্থা গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়ার মতন।

দলের হাইকমান্ডের এমন ওলটপালট সিদ্ধান্তের ফলেই ১৭ বছরেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। আর এমন অপরিপক্ক সিদ্ধান্তের কারণেই বিএনপির সিংহভাগ নেতাই এখন হাল ছেড়ে দিয়েছেন। তারেক রহমানের প্রতি তারা বিরক্ত। যার মাশুল দিতে হচ্ছে বিএনপিকে।

মূলত, ২০০৬ সালে ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই দুঃসময় শুরু হয় বিএনপির। এরই ধারাবাহিকতায় দলের শীর্ষ নেতাদের নানা ধরনের ব্যর্থতা ও সাংগঠনিক বিভক্তিতে বর্তমানে হারিয়ে যাওয়ার অবস্থায় চলে এসেছে এই দলটি। প্রায় দেড় যুগ সময় পেরিয়ে গেলেও বিএনপির নানামুখী সংকট এখনো কাটেনি। এ দিকে বিএনপি কিভাবে এ দুরবস্থা কাটিয়ে উঠবে, তাও কেউ বলতে পারছেন না।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিএনপির সিনিয়র নেতারা চরম বিভক্তি, হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছেন। সম্প্রতি নানা কর্মকাণ্ডে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বের বিরোধিতাও প্রকাশ্য রূপ পেয়েছে, শঙ্কাও তৈরি হয়েছে দল ভাঙার।

এছাড়া রাজপথের বদলে বিএনপির রাজনীতি স্কাইপি ও অনেকাংশে অনলাইনভিত্তিক হয়ে পড়ায় দলে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এর সবই পলাতক তারেকের অপরিপক্ক নেতৃত্বের মাশুল হিসেবেই বিবেচনা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours