নিউজ ডেস্ক : কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট- কেএনএফ এখন মূর্তীমান আতঙ্কের নাম। বান্দরবানের রুমা আর থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টা, পুলিশ ও আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ভীতসন্ত্রস্ত পাহাড়ের মানুষ।
বম, কুকি, চিন, নাগা বা মিজো যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এই জনগোষ্ঠীর লোকজন বৃহত্তর কুকি চিন নাগা নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীরই অন্তর্ভুক্ত। ভারত ও মিয়ানমারে কুকি চিন সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সশস্ত্র তৎপরতায় আতঙ্কিত বাংলাদেশ। সম্প্রতি দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা করেছে কুকি চিনের সশস্ত্র সদস্যরা। বাংলাদেশের সেনা সদস্যদের রক্তও ঝরেছে তাদের হাতে। সব মিলিয়ে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে- শান্তি নয় সংঘাত চায় কেএনএফ।
কেএনএফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ বান্দরবানের মানুষ। তারা অবিলম্বে বিচ্ছিন্ন এ সন্ত্রাসী সংগঠনের হাত থেকে মুক্তি চান। তাই রুমা উপজেলা সদর বাজার এলাকায় ‘শান্তিকামী রুমাবাসী’র ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয় পুরো বান্দরবানের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় সমতলের জঙ্গিদের সহযোগিতায় কেএনএফ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। তাদের এ কর্মকাণ্ডে পার্বত্য এলাকার সাধারণ মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে, দরিদ্র অনেক পরিবার বনজঙ্গলে পালিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
শুধু বাংলাদেশই নয়, কুকি চিনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তির আগুনে পুড়ছে ভারতের অঙ্গরাজ্য মনিপুর। সেখানে স্থানীয় প্রশাসন ও ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে স্থানীয় কুকি, নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো। বান্দরবানের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের চিন প্রদেশেও সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে আসছে স্থানীয় কুকি চিন জনগোষ্ঠী। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না, এই সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদের নির্মূল করা এখন সময়ের দাবি।
+ There are no comments
Add yours