উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংশয়ে বিএনপির হাইকমান্ড

1 min read

সারা দেশে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। দেশের প্রতিটি উপজেলায় বয়ে যাচ্ছে নির্বাচনের সুবাতাস। দেশের মানুষ অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে প্রতিটি উপজেলায় তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য। আর ঠিক এসময় দেশের তথাকথিত শক্তিশালী দল বিএনপির অভ্যন্তরে শুধুই সংশয়। দেশের মূল গণতান্ত্রিক ধারা থেকে বিচ্যুত বিএনপির কাছে নির্বাচনে না যাওয়াটা এখন একটা ফ্যাশনের মত হয়ে গেছে। কিন্তু দলীয় নেতা-কমীরা এখন আর তাদের এসব নাটক দেখতে চাইছে না। আর তাই এখন বিএনপির অভ্যন্তরে বয়ে যাচ্ছে এক নীরব্ ঝড়।

জানা গেছে, বিএনপির শীর্ষ নেতারা এখন অনেকটাই বিভক্ত হয়ে পড়েছে। লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা বললেও সেকথায় কর্ণপাত করছে না দলের ছোট-বড় নেতারা। কারণ নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে থাকতে বিএনপি ও এর সাথে সম্পৃক্ত লোকজন ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে দলের সবাই। দলের একাংশ তারেকের মত নির্বাচন বর্জন করতে চাইলেও সিংহভাগ তা চাইছেনা।

একই অবস্থা দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে সংশয়। বারবার নির্বাচন বর্জনের ফলে দলের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, “একটি গণতান্ত্রিক দলের মূল ভিত্তি হলো নির্বাচন। সেখানে আমরা নির্বাচনকেই বর্জন করেছি। এভাবে কতদিন চলবে? তারেক রহমান তো লন্ডনে পালিয়ে গিয়ে আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছে। কিন্তু আমরা তো তার নির্দেশে পথে-ঘাটে মার খাচ্ছি। আর তাই এবার তারেককে না জানিয়েই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

কিছু নেতা তারেকেরে মত গো ধরে বসে থাকলেও অধিকাংশ নেতাই গোপনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে সকল প্রস্তুতি সেরেছেন। মাঠ পর্যায়ের নেতাদের সাথে তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তারা চাইছেন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করুক এবং আবারও সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসুক।

বেগম জিয়া বা তারেক রহমান না চাইলেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মত করে ভাবছেন বিএনপির হাইকমান্ডের নেতারা। আর একারনেই বড়সড় সংশয়ে পড়েছেন বিএনপির হাইকমান্ড।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours