আর কদিন পরেই আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও ইদের উদযাপন নিয়ে চলছে নানান প্রস্তুতি। যতই ঘনিয়ে আসছে ঈদের দিনটি ততই চাপ বাড়ছে দেশের বিভিন্ন গণপরিবহনে। সারা বছর কর্মস্থলে থাকা মানুষগুলো ফিরতে শুরু করেছে ঘরে। আর এই ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানান রকম ব্যবস্থা। কিন্তু এর মধ্যেও জল ঘোলা করার মিশনে নেমেছে বিএনপি-জামায়াত চক্র।
জানা গেছে, সম্প্রতি গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলো বিএনপি ও জামাতপন্থী পরিবহণ মালিকরা। যেখানে ছিলেন বাস, লঞ্চ সহ অন্যান্য পরিবহন মালিকরা। এই বৈঠকে এবারের ঈদ যাত্রাকে কেন্দ্র করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে অনেক ধরণের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
ঈদ যাত্রায় মানুষ এমনিতেই ভীষণ চাপের মধ্যে চলাচল করে, তার উপরে যদি বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে যেমন- পরিবহন সংকট, টিকেট কালোবাজারি এবং টিকেটের মূল্য; এসবের নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যায় তাহলে বর্তমান সরকারকে খুব সহজেই জনগণের রোষানলে ফেলা যাবে। আর এটাই চাইছে বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা। শুধুমাত্র সরকারকে শায়েস্তা করতে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর অবর্ণনীয় দুর্ভোগ নামিয়ে আনার নীলনকশা করছে তারা।
জানা গেছে, বৈঠকের নেতাদের মাধ্যমে কোথায় কোথায় কখন পরিবহনের সংকট সৃষ্টি করতে হবে, দেশের কোথায় কোথায় টিকেটের কালোবাজারি হবে এবং কারা করবে সেই সাথে কীভাবে উচ্চমূল্যে টিকেট বিক্রি করা যায় সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দেশের অঞ্চলভেদে কোথাও বিএনপি আর কোথাও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ওপর এসব দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানান, এবারের ঈদ যাত্রায় বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন নাশকতার পরিকল্পনাও রয়েছে। যার মধ্যে পরিবহন ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ, সহাসড়কে ডাকাতি এমনকি রেললাইন উপড়ে ফেলার মত বিষয়ও রয়েছে। তবে এসব কাজের জন্য কাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
বিশিষ্টজনরা মনে করছেন, বিএনপি-জামায়াতের নৃশংসতা নতুন কিছু নয়। তবে ঈদকে সামনে রেখে সরকারকে চাপে ফেলতে তার নতুন কী করে সেটাই দেখার বিষয়।
+ There are no comments
Add yours