বিশ্বের অন্তত ২২০ কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানি পায় না বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর তৈরি করা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। বিশ্বের প্রায় ৩৫০ কোটি মানুষের নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থার সুযোগ নেই বলেও ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এছাড়া বিশ্বের প্রতি দুজনের একজন বছরের কয়েক মাস পানির অভাবে কাটায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজুলে বলেছেন, ‘‘বিশ্বের কিছু অঞ্চলে পানির সংকট ব্যতিক্রমের চেয়ে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।’’
‘‘আমরা এই ধরনের পরিস্থিতির পরিণতি জানি। পানির ঘাটতি শুধুমাত্র ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাকে উসকে দেয় না বরং সামগ্রিকভাবে মৌলিক অধিকারের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে।’’
জাতিসংঘ বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানির সংকট বাড়তে থাকায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সংঘাত প্রতিরোধের জন্য আন্তঃসীমান্ত পানি সহযোগিতার গুরুত্ব বাড়ছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জাতিসংঘের ওয়াটার কনভেনশনের সচিব সনিয়া ক্যোপেল বলেছেন, পানি ও শান্তি একে অন্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংশ্লিষ্ট।
তিনি বলেন, স্বাদু পানি সম্পদের ৬০ শতাংশের বেশি দুই বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক দেশ শেয়ার করে, যেমন ইউরোপের রাইন ও দানিয়ুব নদী, এশিয়ার মেকং, আফ্রিকার নীল ও লাতিন আমেরিকার আমাজন নদী। ‘শান্তি, উন্নয়ন ও জলবায়ু অ্যাকশনের জন্য এসব পানি নিয়ে সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
পানি এত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ যে, এটি দ্বন্দ্বে থাকা দেশগুলোকে এক টেবিলে আনতে পারে। ফলে পানি ছাড়াও দ্বন্দ্বের অন্যান্য ইস্যুতেও সমাধানের পথ খোলা হয় বলে মনে করেন ক্যোপেল।
২০১৬ সালে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় বলা হয়েছিল, বিশ্বের ১৪০টি নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে নিরাপদ খাবার পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিনের ব্যবস্থা করতে ২০১৬ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হবে, অর্থাৎ বছরে ১১৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পানি খাতে উন্নয়ন সহায়তা ১৫ শতাংশ কমেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
+ There are no comments
Add yours