জিম্মি জাহাজ সরিয়ে নিচ্ছে জলদস্যুরা

1 min read

২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূল থেকে সরিয়ে নিচ্ছে জলদস্যুরা।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টার পর জাহাজটির নোঙ্গর তোলা হয়। এখন এটি চলমান অবস্থায় আছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমাদের টেকনিক্যাল পারসনরা স্যাটেলাইট অবস্থান দেখে নিশ্চিত হয়েছেন যে, ‘এমভি আবদুল্লাহ’কে আগের অবস্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত জাহাজটি চলমান। কিন্তু কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আমরা সেটি ট্রেস করার চেষ্টা করছি।

এর আগে বৃহস্পতিবার সোমালিয়ান সময় দুপুর ১টার দিকে দেশটির গারাকাড উপকূল থেকে ৭ মাইল দূরে এমভি আবদুল্লাহকে নোঙ্গর করায় জলদস্যুরা। এরপর তাদের ১৯ জনের নতুন আরেকটি দল জাহাজের দায়িত্ব নেয়। আর যারা জাহাজটি জিম্মি করেছিল, ৫০ জনের সেই দস্যু দলটি জাহাজ ছেড়ে চলে যায়।

এদিকে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ট্র্যাকিং করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ভারতীয় নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ।

এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ জিম্মি হওয়ার খবর পেয়ে উদ্ধারের জন্য লং-রেঞ্জ মেরিটাইম পেট্রোল (এলআরএমপি) বিমান মোতায়েন করে ভারতীয় নৌবাহিনী। ১৪ মার্চ সকালে যুদ্ধজাহাজটি সফলভাবে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে আটকে দেয়।

পরে জিম্মি নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যুদ্ধজাহাজটি সোমালিয়ার আঞ্চলিক জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি অবস্থানে থাকে।

এরপর বৃহস্পতিবার রাতে নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালায় উদ্ধারকারী জাহাজ। তখন দুপক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। তবে জিম্মিদের হত্যার হুমকি পেয়ে পিছিয়ে যায় ওই জাহাজ।

১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। সে সময় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছিল জাহাজটি। বর্তমানে দস্যুদের কাছে জিম্মি রয়েছেন ২৩ বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours