রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার নেপথ্যের কারণ খুঁজছে ফায়ার সার্ভিস। ইলেকট্রিক কেতলি ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি আসলে আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে। এজন্য সঠিক তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে কমিটি।
এরই মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডির ফরেনসিক টিম। সেগুলো পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই স্পষ্ট হবে আগুনের নেপথ্যে কী ছিল কারণ।
সিআইডি বলছে, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড গ্যাস সিলিন্ডার থেকে সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
তিনি বলেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস যখন সব কাজ শেষ করে, আগুন নিভিয়েছে তখন সিআইডির একাধিক টিম সেখানে কাজ করেছে। সেখানে সিআইডির ফরেনসিক টিম, ডিএনএ টিম ও কেমিক্যাল টিম কাজ করেছে। বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
সিআইডি প্রধান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। কেমিক্যালের আলামতও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে সেখানে বিস্ফোরকজাতীয় কিছু ছিল কি না। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হবে আগুনের কারণ।
এর আগে ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। দুই ঘণ্টার মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১২ জনকে।
এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সুরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন হাইকোর্ট। কমিটিতে পুলিশ, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, বুয়েট ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে। এই কমিটি চার মাসের মধ্যে বেইলি রোডে আগুনের কারণ অনুসন্ধান করবে এবং কারা এজন্য দায়ী তা খুঁজে বের করবে। এছাড়া রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে তার সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
পৃথক দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৪ মার্চ বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
+ There are no comments
Add yours