বিকেলে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল, রাতেই সুর বদল

0 min read

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণার পর সংগঠনটির নেতাকর্মীরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল করেছেন। নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নিয়েছেন আনন্দ মিছিলে।

তবে আনন্দ মিছিল করার কয়েক ঘণ্টা পরই সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ ধরনের মিছিল বা মিষ্টি বিতরণ থেকে নেতাকর্মীদের বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। এর কারণ হিসেবে বিবৃতিতে বলা হয়, রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বহু হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়ে তারা আনন্দ মিছিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন শাখার উদ্যোগে একটি মিছিল বের হয়। তার আগে ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ সাত সদস্যের কমিটির উপস্থিত নেতাদের দুইশোর বেশি ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থক ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে রাকিব ও নাসিরের সমন্বয়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে একটি আনন্দ মিছিল নয়াপলটন থেকে শুরু হয়ে নাইটেঙ্গেল মোড় ইউটার্ন করে আনন্দ ভবন কমিউনিটি সেন্টার, পল্টন থানার সামনে দিয়ে ফের নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ করে।

এছাড়া নরসিংদী ও রাজশাহীতে নতুন কমিটির নেতাদের স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল করেছেন।

শুক্রবার রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা নবনির্বাচিত নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। কিন্তু সবাই অবগত আছেন, বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৫ জন মানুষ আগুনে পুড়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। নিহত ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির নেতারা শুভেচ্ছা বিনিময় করা থেকে বিরত থাকেন এবং আনন্দ মিছিল করতে নিষেধ করেন।

একই সঙ্গে তারা সারাদেশে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের এই শোকাবহ দিনে সব ধরনের আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ কিংবা ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফ্যাসিবাদী সরকার বিরোধীদল দমনের কাজে রাষ্ট্রের সর্বশক্তি নিয়োগ করার কারণে দেশের সর্বক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থাপনা এবং নৈরাজ্য বিরাজ করছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। যে কোনো দুর্ঘটনায় সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষার সাধারণ পদক্ষেপগুলো নিতেও সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours