নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত বিএনপির কাউন্সিল হয় না দীর্ঘদিন ধরে। কিভাবে নেতৃত্ব বা পদ নির্ধারিত হয় তাও নিশ্চিত না। তবে ওপেন সিক্রেট সত্যটা অনেকেই জানেন। তা হলো বিএনপির পদ নির্ধারিত হয় টাকার বিনিময়ে। অর্থাৎ কেনাবেচা হয় বিএনপির পদ। জানা গেছে, আপাতত কাউন্সিল নয়, আবারও টাকার বিনিময়েই হবে বিএনপির পদায়ন।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, আসন্ন রোজার আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে যে সমস্ত শূন্য পদ গুলো রয়েছে, সেই শূন্যপদগুলো পূরণ করবে। আর অন্যটি দলে নিস্ক্রিয় নেতা এবং যারা দলের জন্য কোন অবদান রাখতে পারছেন না তাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেবে। কিন্তু এর মধ্যে রয়েছে কিছু ফাঁক-ফোকর।
যদিও মুখে মুখে বিএনপির হাইকমান্ড বলছে, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনই তাদের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয়। রমজান মাস জুড়ে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলবে যেন ঈদের পর থেকেই তারা বড় ধরনের আন্দোলনের মধ্যে যেতে পারেন। আর এই লক্ষ্যেই বিএনপি এখন দফায় দফায় বৈঠক করছে।
তবে দলে পদ ঠিক না থাকলে কে কোন দায়িত্বে থাকবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিরাট ঝামেলা। এই ঝামেলা নিরসন করতেই রোজার মধ্যেই পদ চূড়ান্ত করবে দলটি। দলের চেয়ারপার্সন দীর্ঘদিন ধরে আছেন অসুস্থ। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রয়েছে বিদেশে পলাতক। তাই দলের ভার রয়েছে মির্জা ফখরুল, রিজভী, আমির খসরু ও মির্জা আব্বাসদের নিয়ন্ত্রণে।
গোপন সূত্র বলছে, বিদেশে টাকা পাঠানোর যে কোটা তা পূরণ করতে পারছে না বিএনপির নেতারা। যে কারণে আবারও পদ বাণিজ্যেই ভর করতে হচ্ছে। মহানগর, জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যন্ত পদের জন্য নির্ধারিত রেট রাখা হয়েছে। দলে পদ পেতে হলে টাকা দিতে হবে কিংবা পুরোনো পদ ধরে রাখতে হলেও দিতে হবে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদ অনুযায়ী পদের রেট ভিন্ন ভিন্ন। রোজার মধ্যেই এই বাণিজ্য প্রক্রিয়া শেষ হবে জানিয়েছে সূত্রটি।
+ There are no comments
Add yours