জিয়া ছিলেন উর্দুভাষী, বাংলা লিখতে ও পড়তে পারতেন না

1 min read

নিউজ ডেস্ক : ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ পাকিস্তানের নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলাদেশে ঘোষণা দিয়েছিলেন,”State language of Pakistan is going to be Urdu and no other language”. যার সারকথা, ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’। আর তার এই একটি উক্তির পরেই উত্তাল হয়ে উঠে রাজপথ। ভাষার জন্য জীবন দিয়ে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ‌বাংলা ভাষার স্বীকৃতি অর্জিত হয়।

জিন্নাহর জীবনী যারা পড়েছেন এবং ইতিহাস সম্পর্কে যাদের সামান্যতম জ্ঞান আছে, তারা জানেন, উর্দু পড়তে বা লিখতে পারা তো দূরে থাক, জিন্নাহ উর্দু বলতেই পারতেন না! কারণ, পাকিস্তানের এই প্রতিষ্ঠাতার মাতৃভাষা ছিলো ভারতের অন্যতম ভাষা- গুজরাটি।

একইরকমভাবে জিয়াউর রহমানের মাতৃভাষা বাংলা হলেও উর্দুর প্রতি ছিলো তার ভীষণ দুর্বলতা। উর্দু এবং ইংরেজিতে পারদর্শী ছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জিয়ার রাজনৈতিক সহচর, মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ভাই মোখলেসুর রহমান সিধুর একটি সাক্ষাৎকারকে উদ্ধৃত করে মহিউদ্দিন আহমদ তার বইতে লিখেছেন, “জিয়া বাংলা লিখতে-পড়তে জানতেন না। প্রথমদিকে তিনি বাংলায় যে বক্তৃতা দিতেন, সেগুলো উর্দুতে লিখতেন। লিখে তারপর তা-ই দেখে দেখে ভাষণ দিতেন। তিনি ভালো করে বক্তৃতা দিতে পারতেন না। দিতে গেলে খালি হাত-পা ছুঁড়তেন।”

মোখলেসুর রহমান সিধুর সাক্ষাত্কারভিত্তিক রচনা ‘আমার জীবন-কথা ও সময়’ লেখায় এ বিষয়ে আরও বলা হয়েছে, ‘তিনি (জিয়া) শেষের দিকে যা কিছুতে সই করতেন, সেটা করতেন শুধু বাংলায় ‘জিয়া’ লিখে। আপনারা যদি তার স্বাক্ষর করা ফাইল দেখেন, তাহলে এই ব্যাপারটা লক্ষ্য করবেন। করাচিতে তিনি লেখাপড়া শিখেছেন। যত্সামান্য বাংলা বলতে পারতেন। বাংলা লেখাপড়া কিছুই জানতেন না’।

যে দেশে রাষ্ট্রভাষার জন্য বাঙালি জাতি জীবন দিয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের পটভূমি রচিত হয়েছিল ভাষার জন্য। জাতির দুর্ভাগ্য- সেই দেশের অবৈধ শাসক ছিলেন জিয়াউর রহমান। ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এই জিয়াউর রহমান। পরে তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যা বাংলা ভাষার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের জন্য অবমাননাকর।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours