টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, কুতুবদিয়ার চরাঞ্চল থেকে শুরু করে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তিনি এ কথা জানান। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি ঘর ২০২১ সালের মধ্যে আমরা আলোকিত করেছি। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, কুতুবদিয়ার চরাঞ্চল থেকে শুরু করে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। বিদ্যুতের সঙ্গে আরেকটি বড় উদাহরণ দিতে চাই। বাংলাদেশ বিশ্বে বিশেষ করে সোলার হোম সিস্টেমে এখন আমরা চ্যাম্পিয়ন লাভ করেছি। প্রায় ৫০-৫২ লাখ ঘরে আমাদের সোলার বাতি কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অ্যাফোর্টিবিলিটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে আমরা বিদ্যুৎ অ্যাফোর্টিবল করতে পারবো, কীভাবে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পারি, কীভাবে বিদ্যুৎ আমরা রিলায়েবল রাখতে পারি-এ তিন জিনিস মাথায় রেখে আমরা আবার একটা রিভিউ মাস্টারপ্ল্যান করেছি। যেকানো বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে ধীরে ধীরে। বিদ্যুৎকে আরও বেশি গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য মহাপরিকল্পনা নিয়েছি গ্যাস ক্ষেত্রে। গ্যাসের অনুসন্ধান বাড়ানোর জন্য আমরা এরই মধ্যে ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছি। এরই মধ্যে পাঁচটি গ্যাসফিল্ড বিশেষ করে ভোলায়, শাহাজাদপুর, ইলিশায় নতুনভাবে গ্যাস আবিস্কৃত হয়েছে। সেখানকার গ্যাস কীভাবে আমরা বরিশাল পর্যন্ত নিয়ে পটুয়াখালিসহ যশোরে সংযোগ দেবো। এবং যশোরের সঙ্গে কীভাবে আমরা রংপুরের গ্যাস পাইপলাইনের সঙ্গে সংযোগ করবো তারও ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।
নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ঢাকার থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে শরিয়তপুর, মাদারীপুর অংশে গ্যাস লাইন নিয়ে বরিশালের সঙ্গে সংযোগ করবো। অর্থাৎ মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বৃহত্তর ফরিদপুরে যেসব শিল্প এলাকা আছে সেখানে যেন আমরা গ্যাসের সংযোগ দিতে পারি তারও আমরা ব্যবস্থা করছি। নতুন করে প্রায় ৪২ ইঞ্চি দুটি পাইপ লাইন চট্টগ্রাম থেকে তৈরি হচ্ছ, যাতে ঢাকায় যে গ্যাসের অভাব দেখা গেছে সেটি আমরা সম্পন্ন করতে পারি।
+ There are no comments
Add yours