নেতৃত্ব বিষয়ে বিএনপিকে যে পরামর্শ দিলো তাদের ‘আন্তর্জাতিক মুরুব্বিরা’

1 min read

নিউজ ডেস্ক : একজন দণ্ডিত ব্যক্তি বিদেশ থেকে দল পরিচালনা করার বিষয়টি কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক চেতনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এর ফলে বিএনপির নীতিনির্ধারক কোন নেতার সঙ্গে কূটনীতিকরা কথা বলতে পারছে না আনুষ্ঠানিকভাবে। তাছাড়া বিএনপির সত্যিকার অবস্থা কি বা দলটি কি করতে চায় সে সম্পর্কেও কোন সুস্পষ্ট ধারণা পাচ্ছে না।

এখনও বিএনপির নেতারা জানেন না আগামীকাল তারা কি করবে। এই অবস্থায় একটি দল চলতে পারে না। তাই বিএনপির ‘আন্তর্জাতিক মুরুব্বিরা’ পরামর্শ দিয়েছেন, তারেক রহমানকে সরিয়ে এমন একজনকে নেতৃত্বে আনা হোক- যিনি ঢাকায় আছেন এবং সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারেন। তাৎক্ষণিক দলের ভালো-মন্দের সিদ্ধান্ত সিতে পারেন।

এ বিষয়ে বিএনপির ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বাংলানিউজ ব্যাংককে বলেন, বিএনপির বর্তমান অবস্থা এমন যে, কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে কূটনীতিকরা কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করলে উত্তরের জন্য পরবর্তী বৈঠকের প্রস্তাব করছেন নেতৃবৃন্দ। এর মধ্যে লন্ডনে কথাবার্তা বলে নেতারা এসে তারেকের সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন কূটনীতিকদের। নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ন্যূনতম ক্ষমতাটুকুও বিএনপি নেতাদের নেই। এটি গত কয়েকমাসে পশ্চিমা দেশগুলো বুঝতে পেরেছেন।

তাই তারা বিএনপি নেতাদেরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন- তারা এমন নেতার সাথে কথা বলতে চান, যে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং দেশে থেকে দলের নেতৃত্ব দিবেন। মোট কথা, তারেক জিয়াকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে আন্তর্জাতিক পরামর্শকরা।

আরও জানা যায়, ঠিক এই প্রস্তাব ছয় বছর আগে ভারতের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয়েছিল। ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, তারেক জিয়াকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে না দেওয়া হলে বিএনপির সাথে তাদের কোন রকম সম্পর্ক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তারেককে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে প্রধান যুক্তি ছিল তিনি একজন সন্ত্রাসী, জঙ্গি এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডিত। এছাড়াও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে তার যোগসাজশের তথ্য ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে রয়েছে।

এসব দিক বিবেচনায় দলটির কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতারা চাইছে- তারেক মুক্ত বিএনপি। তারা মনে করছে, তারেক রহমানের নেতৃত্ব থেকে সরে আসলেই বিএনপি আবার ঘুরে দাঁড়াবে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours