গাঁদাফুলের মালায় সাজানো ভ্যান। তার ওপর রাজকীয় চেয়ারে এক বসা সাবেক প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন। ব্যান্ডপার্টির বাজনার তালে তালে ঘুরছে ভ্যানের চাকা। এভাবেই বাড়ি থেকে গ্রামের রাস্তা ধরে স্কুল পর্যন্ত ছুটলো ভ্যান। রাস্তার দুই ধারে মানুষের চোখ ব্যতিক্রমী শোভাযাত্রার দিকে। ভ্যানের ধরে দৌঁড়াচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। ব্যতিক্রমী এই অভ্যর্থনার কারণ স্কুলের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করবেন সাবেক প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা গ্রামের সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে শনিবার এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়।
স্কুলে পৌঁছানোর পর তার সঙ্গে যোগ হন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দ। তারা সবাই অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি। অতিথিদের গায়ে ফুলের পাপড়ি ছিঁটিয়ে বরণ করে নিলেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে মুগ্ধ প্রাক্তন শিক্ষকরাও।
প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষক পুনর্মিলনী উদযাপন পরিষদের আহবায়ক মীর ফারুখ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন। সঞ্চালনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা হাসান হাফিজুর রহমান ও সিরাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন প্রাক্তন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। তারা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন স্মৃতিচারণে। অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষকদের সম্মাননা দেওয়া হয়। তারা হলেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন, নজরুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মতিয়ার রহমান, আতাউর রহমান, মিজানুর রহমান, শাহাবুদ্দীন, নূর মুহম্মদ, খোরশেদ আলম, শাহাবুদ্দীন, আবদুল ওহাব, মীর রফিকুল ইসলাম, এসএম শাহজাহান কবীর, নজরুল ইসলাম, সামছুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, গৌতম ধর, শাহাবউদ্দিন, নূরুল ইসলাম, শ্রী রাধাকান্ত ও আহসান হাবীব।
প্রাক্তন ছাত্র হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের বিদ্যালয়টি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। শুরু থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৪৯টি ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। একসঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে পেরে আমরা গর্বিত। শিক্ষকদের সম্মাননা জানাতে পেরে খুবই খুশি হয়েছি। মিলনমেলায় অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours