নিউজ ডেস্ক: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল- বিএনপি। নিজেদের আমলের দুঃশাসনের খেসারত দিতেই দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে জনবিচ্ছিন্ন রয়েছে দলটি। শীর্ষ দুই নেতাসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের দায়ে রয়েছে কারাগারে। জনগণও ভীষণ ক্ষিপ্ত দলটির নেতৃত্ব নিয়ে।
এদিকে ২০১৪ সালের পর এবারও কেন বিএনপি নির্বাচনে গেল না, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এটা কি বিএনপি ভুল করেছে? নাকি তাদের কোনো শূন্যতা বা ব্যর্থতা আছে? সেটা নিয়ে জনমনে চলছে নানা প্রশ্ন। যদিও বিএনপি একটি অসাংবিধানিক দাবি তুলে নির্বাচন থেকে দূরে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু ওই দাবি ধোপে টিকছে না। কেননা আগামী ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হবে, তাতে অংশ নিচ্ছে ২৭টি রাজনৈতিক দল।
অন্যদিকে এতোগুলো দল নির্বাচনে গেলেও বিএনপি কেন সাহস পেল না তার কারণ অনুসন্ধান করেছে আমাদের প্রতিবেদক। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত এবং নানা জনের বক্তব্য মিলিয়ে দুটি মূল এবং বৃহৎ কারণ খুঁজে বের করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে বিএনপি মূলত- যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পায়নি আর দুর্নীতির কারণে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ দণ্ডিত থাকায় নির্বাচনে অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হয়েছে। যে কারণেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণে অনাগ্রহ দেখিয়েছে পুরো বছর জুড়েই।
প্রায় ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা এবং দুঃশাসনের দিনলিপি প্রকাশ হওয়ায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী দল থেকে বেরিয়ে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। আর বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন এবং অসুস্থ হয়ে সরকারের মহানুভবতায় মুক্তি নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যদিকে কয়েকটি বড় বড় মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে পালিয়ে আছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এই দুই কারণে দলটি নেতৃত্বশূন্য ও কর্মীহীন অবস্থায় রয়েছে। যার ফলে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সাহস করেনি। কেননা ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মতো প্রার্থীই খুঁজে পায়নি। আর মনোনয়ন বাণিজ্যের কোনো সুযোগও দেয়নি কোনো প্রার্থী। আর শীর্ষ দুই নেতার একজন হাসপাতালে আরেকজন বিদেশে পালিয়ে থাকায় দল গোছানোর কোনো সুযোগ না থাকায় নির্বাচনে যাওয়ার সাহস করেনি বিএনপি।
+ There are no comments
Add yours