একদফার সঙ্গে আরেক দফার দ্বন্দ্বে বিএনপি

1 min read

নিউজ ডেস্ক: এবার সরকার হটানোর ‘এক দফা’ দাবিতে ১৫ দিনের গুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে আসছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। এই গুচ্ছ কর্মসূচিতে যেমন নানামাত্রিক সমাবেশ থাকবে, তেমনি একাধিক রোডমার্চের কর্মসূচিও থাকবে বলে জানা গেছে। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ শেষে আগামী মঙ্গলবার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে। আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।

এরই মধ্যে এই সমাবেশও পূর্ববর্তী প্রতিটি সমাবেশের মতো ফ্লপ হবে, এই শঙ্কায় আগে থেকে মির্জা ফখরুলকে মহাসচিব পদ থেকে হটিয়ে দেয়ার পথে হাঁটছে বিএনপি। তারেকপন্থী একাধিক সিনিয়র নেতা কর্তৃক এই তথ্যের নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে।

দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্যমতে, ১০ বছর যাবত বিএনপির মহাসচিব থেকেও দলের জন্য কিছুই করতে পারেন নি তিনি। তাছাড়া দলের নিয়ন্ত্রক ও সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী লন্ডনে পলাতক ফেরারি আসামি তারেক রহমান হওয়ায় তার কর্মপরিধিও যৎসামান্য। খালেদাপন্থী নেতা হওয়াই এক্ষেত্রে ফখরুলের অদ্বিতীয় অপরাধ।

তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও বৈঠক সারেন একান্ত গোপনে নিজের ‘আস্থাভাজন’ ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে। এ থেকে অনেকেই ধারণা করছেন, হয়তো পরবর্তী জাতীয় কাউন্সিলে মহাসচিবের পদ তিনিই পাচ্ছেন।

এর মধ্যে মিললো আরেক নতুন খবর। খসরু-মোশাররফরা মির্জা ফখরুলকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দিতে একাট্টা হয়েছেন। শুধু তাই নয়, অনেক দূর অগ্রসরও হয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে তারা মহাসচিবের এক দফা দাবির বাইরে গিয়ে নিজেরা ভিন্ন মাত্রায় আরেক দফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।

তবে বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে বাংলা নিউজ ব্যাংকের এই প্রতিবেদককে মির্জা ফখরুল বলেন, খসরু-মোশাররফ আরেক দফা আন্দোলনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কার নেতৃত্বে এ আন্দোলন হচ্ছে, কেন হচ্ছে তার সিঁকেভাগও জানিনা। এ সংক্রান্ত কোন তথ্যই আমার কাছে নেই। আমি এক দফা আন্দোলনের সঙ্গে আছি।

ফখরুল না জানার ভান করলেও বিষয়টি নিয়ে জানেন অনেকেই। কথা হলো তেমনই একজনের সঙ্গে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, তলে তলে আমীর খসরু ও খন্দকার মোশাররফ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। এ ব্যাপারে কম-বেশি দলের সিনিয়র নেতারা জানেন। কিন্তু তাদের এমনটি করা উচিত হচ্ছেনা। কারণ, বিষয়টি বিএনপির বিরুদ্ধেই বিএনপির আন্দোলন হয়ে দাঁড়াচ্ছে দিনকেদিন। যেটা দলের জন্য বিপদ বৈ অন্যকিছু বয়ে আনবে না। মির্জা ফখরুল যে তার মহাসচিব পদ হারিয়ে ফেলছেন, এটিই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours