যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআই’র অভিযানে বাইডেনের হুমকিদাতা নিহত

1 min read

উটাহ অঙ্গরাজ্যে সফর ঘিরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হত্যার হুমকিদাতা এফবিআইয়ের অভিযানে নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির গ্রেফতার অভিযানের সময় নিজ বাড়িতে ওই ব্যক্তি নিহত হন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে বার্তা সংস্থা সিএনএন বলছে, নিহত ওই ব্যক্তি বন্দুক তাক করার পর এফবিআইয়ের সোয়াত টিম তাকে গুলির নির্দেশ দেয়।

এফবিআইয়ের অভিযানে নিহত ওই ব্যক্তির নাম ক্রেইগ রবার্টসন (৭০)। তার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টকে হত্যার হুমকি দেওয়াসহ বেশকিছু মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও দেশটির বিচার বিভাগের বেশকিছু কর্মকর্তাকেও হত্যার হুমকি দিয়েছেন। তদন্তকারীরা রবার্টসনের ‘এম২৪ স্নাইপার রাইফেল’ ও বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের তথ্য পেয়েছেন।

বাইডেনের উটাহ সফরের আগে বুধবার রবার্টসন তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আমি শুনেছি, বাইডেন উটাহে আসছেন। তাই আমি আমার গিলি স্যুট (ঘাস-লতাপাতার সমন্বয়ে তৈরি এক ধরনের ছদ্মবেশ ধারণের পোশাক) এবং এম২৪ স্নাইপার রাইফেলটি পরিষ্কার করছি। আপনাকে স্বাগতম’

রবার্টসন এর আগেও আরও ডজনখানেক হুমকিমূলক পোস্ট শেয়ার করেছেন ফেসবুকে। ফেসবুকে এই পোস্ট দেওয়ার পর ক্রেইগ রবার্টসনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় বলা হয়, এর আগে চলতি বছরের মার্চে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে আলভিন ব্র্যাগের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসেন রবার্টসন। সে সময় ট্রুথ সোশ্যাল এফবিআইকে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা তাকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল।

এদিকে এফবিআইয়ের এই অভিযানকে বিতর্কিত বলছেন অনেকেই। রবার্টসনের নিহত হওয়ার ঘটনা সরাসরি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করছেন তারা। তাদের ভাষ্যমতে, মানবাধিকার ও সুশাসনের নামে সারা বিশ্বের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, কিন্তু তাদের নিজ দেশেই সুশাসন নেই।

একজন নাগরিক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় তাকে হত্যা কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে সমালোচনা চলছে। বাংলাদেশের মতো জায়গায় অপরাধ দমনে ভূমিকা রাখা র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশেই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি মার্কিনীদের এক নীতি, আর নিজের দেশের জন্য আরেক নীতি। তাদের এই দ্বিমুখী নীতির কারণে বইছে নিন্দার ঝড়।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours