নিউজ ডেস্ক: সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ আসন উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশি প্রভুদের কাছে জলঘোলা করে শেষমেশ নিজ স্বার্থ হাসিল করেছেন বিতর্কিত ইউটিউবার ও অশ্লীল ভিডিও নির্মাণকারী হিরো আলম। বিএনপির দেখানো পথে হেঁটেই দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশবিরোধী গুজববাজ খ্যাত পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসাইন-জুলকারনাইন সায়েরের মতো তিনিও বিদেশ পাড়ি জমাতে যাচ্ছেন।
কি এমন ‘মাস্টারমাইন্ড গেইম’ খেলেছেন হিরো আলম তা পরিষ্কার হয়েছে ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশ্যমূলক বিবৃতিতে। এই বিবৃতি পাওয়ার পরপরই তিনি গণমাধ্যমে বলেন, তার নাকি প্রাণনাশের শঙ্কা রয়েছে। এখন দেশে থাকা তার জন্য নিরাপদ নয়। যেটি এর আগে ঘটিয়েছিলেন তারেক-পিনাকী-ইলিয়াস-জুলকারনাইন সায়েররা। তাদের মতো তিনিও জীবন বাঁচাতে বিদেশে পাড়ি জমাবেন আর এরপর যুক্ত হবেন ওই গুজবসেলে।
এজন্য তিনি দেশ হিসেবে বেছে নিয়েছেন আমেরিকাকে। তার পছন্দের দেশের তালিকায় রয়েছে লন্ডন, সুইডেনও। তবে ওই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির মাধ্যমে মার্কিন মুলুকে যাওয়া তার জন্য বেশি সহজ হবে ও আয়ের পথ সুগম হওয়ার কথা জানা যায়।
এমন অসাধ্য তিনি সাধন করেছেন উপনির্বাচনে হেরে হামলার নাটক মঞ্চস্থ করে। নিজের ইউটিউবার-টিকটকার বাহিনী দিয়ে হামলার ভুয়া নাটক সাজিয়ে তিনি কাড়েন আন্তর্জাতিক দৃষ্টি।
আমেরিকায় গেলে তিনি ইউটিউবিং পেশা বদল করবেন কিনা এ বিষয়ে আইটি বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশের চেয়ে আমেরিকায় টাকা (ডলার) কামানো যায় বেশি। মনিটাইজ করা ওইসব ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে এসব তিনি করতে পারবেন দ্রুতই। এই সুযোগ তিনি মিস করতে পারেন না। মূলত আমেরিকায় যাওয়ার সুযোগকে পাকাপোক্ত করতেই হিরো আলমের ওই নির্বাচন ও ‘মার খাওয়ার’ নাটক করেছেন। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে হলেও তিনি সফল হয়েছেন।
+ There are no comments
Add yours