বিএনপি সহিংসতা করলে যুবলীগও শক্তি প্রদর্শনে বাধ্য হবে: শেখ পরশ

1 min read

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, সামনের সব নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক হবে। সব নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ইউনিট সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের তৃণমূল শক্তিশালী করতে হবে। এসব ইউনিট আমাদের অন্য সংগঠনের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করবে। আগামীতে আপনারা দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন বলে বিশ্বাস করি।

সম্প্রতি রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনের (মোহাম্মদপুর-আদাবর, শেরে বাংলানগর) ৮টি ওয়ার্ডের ১০৪টি ইউনিটের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন উদ্বোধন করেন শেখ পরশ।

যুবলীগ চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের একমাত্র বাধা বিএনপি। তারা এখন নামসর্বস্ব একটি দলে পরিণত হয়েছে। কোনোভাবে জনগণের ওপর সহিংসতা আমরা বরদাশত করব না। যদি সহিংসতা করা হয়, তাহলে যুবলীগও শক্তি প্রদর্শন করতে বাধ্য হবে।

সরকার গণমুখী বাজেট উপহার দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি ২০০৮ থেকে ২০২৩ সালের যোগাযোগ খাতে উন্নয়ন খেয়াল করেন, তাহলে দেখবেন কি অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আবারও নির্বাচিত করতে হবে।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের মাঠে ময়দানে থাকতে হবে। যেকোনও ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে তৈরি থাকতে হবে। এটা সম্ভব হবে যখন আমরা নিজেদের মধ্যে গ্রুপিং বন্ধ করব।

সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান িএবং আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমি যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদককে বলতে চাই, আজ যখন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাই, তখন যুবলীগের নতুন উদ্দীপনা, নতুন ভাবমূর্তি দেখে আমার প্রাণ ভরে যায়। আজকে ১০৪টি ইউনিট সম্মেলন হলো। এই ইউনিটগুলো বিএনপি-জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। তারা ক্যান্টনমেন্টের ভূমিকা পালন করবে। এই ক্যান্টনমেন্ট হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কর্মযজ্ঞের মূলভিত্তি।

তিনি মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে নাকি রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। তার কথা শুনে ঘোড়াও হাসে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার আগে মুক্তিযোদ্ধা, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিলেন। সেই সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি নাকি রাষ্ট্রের মেরামত করবে, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে। যারা সরকারের পাশে আর একটি হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্রকে গুম-হত্যার লীলাভূমি করেছিল তাদের মুখে এসব কথা মানায় না। ওদের সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার, সজাগ থেকে রাজপথে থেকে তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে। এটাই হবে আজকের সম্মেলনের শপথ।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, এই আদাবর, মোহাম্মদপুর, শেরে বাংলানগর এলাকার যুবলীগ ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের নির্মম নির্যাতনের কথা ভোলে নাই। আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত যত ষড়যন্ত্রই করুক না কেন সব ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে যুবলীগ।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মো. রফিকুল ইসলাম, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন খসরু, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দি, উপ-দফতর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, সহ-সম্পাদক মির্জা নাসিউল আলম শুভ্র, কার্যনির্বাহী সদস্য কায়কোবাদ ওসমানী, অ্যাড. নাজমুল হুদা নাহিদ, জিএম গাফফার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামালসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours