মার্কিন ভিসানীতি আ.লীগের জন্য উদ্বেগের কারণ নয়: শাজাহান খান

1 min read

সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক, সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেছেন, মার্কিন ভিসানীতি আওয়ামী লীগের জন্য উদ্বেগের কারণ নয়। বরং যারা নির্বাচনে অন্তরায়, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, এ ভিসানীতি তাদের জন্য ভয়ের।

বাংলাদেশ সড়ক ফেডারেশনের সভাপতি, সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা নীলফামারী জেলা আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন বাবুল।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ। আরও বক্তব্য দেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা সালাহউদ্দিন বেগ, নীলফামারী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কান্তি কুন্ডু, সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এম আমিনুল হকসহ অনেকে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ২০০৭ সালে মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। তখন মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছিল, তারেক রহমান একজন ভয়ংকর মানুষ। তাকে আমেরিকার ভিসা দেওয়া হয়নি। ১৯৭৫ এ জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান বয়ে এনেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা, ব্যাংক লোন, বীর নিবাস -এসব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। মৃত্যুর পর দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় মর্যাদা। যা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার জীবনে গৌরবের বিষয়।

জয়বাংলা স্লোগান, এখন জাতীয় স্লোগান, জিয়াউর রহমান এ স্লোগান নিষিদ্ধ করেছিলেন উল্লেখ করে শাজাহান বলেন, শিগগিরই বিভাগে বিভাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ হবে। এরপর ঢাকায় জাতীয় সমাবেশ। ওই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন।

সব রাস্তাঘাট ও সেতু বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের নামে নামকরণ হবে, এ নিয়ে আমরা কাজ করছি, যোগ করেন তিনি।

+ There are no comments

Add yours