নির্বাচন ছাড়া বিএনপির কোনও উপায় নেই: শাজাহান খান

1 min read

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক শাজাহান খান বলেছেন, বিএনপিকে এবার নির্বাচনে আসতেই হবে। নির্বাচন ছাড়া বিএনপির আর কোনও উপায় নেই।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।

শাজাহান খান বলেন, ‘নির্বাচনে না এলে বিএনপির রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটবে। আগামী নির্বাচনে না এলে বাংলার মানুষ এ দেশে আর আপনাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেবে না।’

সম্প্রতি আমেরিকার দেওয়া ভিসানীতির কারণে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমেরিকার ভিসানীতি ঘোষণার পর বিএনপি আনন্দে আত্মহারা ছিল। তারা মনে করেছিল আমেরিকা ভিসানীতি করেছে সরকার বা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। পরে যখন তারা বুঝতে পারলো তখন তাদের মাথা খারাপ গেলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকা তাদের ভিসানীতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্বাচন যারা করবে তাদের কথা বলেনি। তারা বলেছে, যারা নির্বাচন বানচাল করবে, ষড়যন্ত্র করবে এবং নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতা করবে তাদের জন্য এই ভিসানীতি কার্যকর হবে।’

বিএনপিকে খুনি দল আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘তারা হত্যা ছাড়া আর কিবা চিনবে। তাদের রাজনীতি হত্যার রাজনীতি। রক্তের রাজনীতি করে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি তৈরি করেছিল বিএনপি।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি বারবার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে। শেখ হাসিনাকে হত্যার মধ্য দিয়ে এখন আবার ক্ষমতায় যেতে চায়। একবার দুইবার নয় ২১ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ক্ষমতায় গিয়েও তারা হত্যার চেষ্টা করেছে। ক্ষমতার বাইরে থেকেও চেষ্টা করছে। এই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে তারা বাংলার মাটিতে হাওয়া ভবন সৃষ্টি করেছিল। বাংলার মাটিতে আর কোনও দিন তাদের হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন ফিরে আসবে না। মানুষ তাদের হাওয়া ভবনের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে।’

শাজাহান খান বলেন, ‘আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়েছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিদাতা আবু সাঈদ চাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে। পাশাপাশি বিএনপিকে জানাতে চাই, যদি তারা ১৩-১৪ সালের মতো আগুন সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র করে মানুষ হত্যা করে, তবে মুক্তিযোদ্ধা, শ্রমিক, জনতা তাদের রাজপথে প্রতিহত করবে।’

মানববন্ধনে আরও ছিলেন সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব ওসমান আলী, যুগ্ম সদস্য সচিব এবিএম সুলতান আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours