দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা, ৫ সিটিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিএনপির প্রার্থীদের

1 min read

বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপি যখন আন্দোলন করছে, ঠিক সেসময় পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সামনে এসেছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ যেন ভোটে অংশ না নেন- সেটি ঠেকানোই বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু পাঁচ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির প্রার্থীরা।

বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতির সংলাপ, ইসি নিয়োগে গঠিত সার্চ কমিটিতে নাম না দেওয়াসহ অনেক কর্মকাণ্ডেই অংশ নেয়নি বিএনপি। ইসি দায়িত্ব নেয়ার পর বিএনপিকে আলোচনার জন্য চিঠি দেওয়া হলেও তাতে তারা সাড়া দেয়নি। এই ইসির অধীনে কোনো নির্বাচনেও অংশ নেয়নি বিএনপি। আগামীতেও এই কমিশনের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বলে আসছে। অথচ পাঁচ সিটি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনমুখী বিএনপির প্রার্থীরা। বিষয়টি এখন বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে সম্প্রতি লন্ডন যান। সেখান থেকে দেশে ফিরে তিনি নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইঙ্গিত দেন।

নেতাকর্মীদের বলছেন, মোটা অংকের টাকা দিয়ে তিনি তারেক রহমানকে ম্যানেজ করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি দলের সিগন্যাল পরিষ্কার করবেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শেষ পর্যন্ত দল থেকে পদত্যাগ করে হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন করবেন।

বিগত খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও দলের মহানগরের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুও প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। দলের পদে না থাকলেও তিনি বলছেন, আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেওয়া যাবে না। তিনিও ভোট করতে চান।

বরিশালে বিএনপির দলীয় সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রূপন মেয়রপ্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

গাজীপুরে প্রার্থী হওয়ার কথা বলেছেন দলীয় নেতা নূরুল ইসলামের ছেলে সরকার শাহ নূর ইসলাম। এছাড়া দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান সরকারের প্রার্থী হওয়ার বিষয়েও গুঞ্জন উঠেছে।

রাজশাহী সিটি নির্বাচনেও দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমনও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আমরা দলের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি। আশা করছি দল সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক হবে। প্রয়োজনে নির্বাহী কমিটির মিটিং থেকে দলের সর্বস্তরে বৈঠক করে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। আন্দোলনের অংশ হিসেবে হলেও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত।

এ বিষযে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে দলে। আমরা মনে করছি, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কেউ ভোটে যাবে না। কেউ যদি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটে যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে দল।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours